নয়াদিল্লি, ৩০ অক্টোবর: পশ্চিম রাজস্থানের মরুভূমি থেকে গুজরাটের স্যার ক্রিক পর্যন্ত, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আবারও যুদ্ধ হবে, এবং এই যুদ্ধের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ত্রিশূল (Operation Trishul)। ‘অপারেশন ত্রিশূল’ হল ভারতের তিন সেনাবাহিনীর একটি যৌথ সামরিক মহড়া, যা দেখে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হবে এবং চিনা সেনাবাহিনীরও ঘুম ভেঙে যাবে। এই মহড়া আজ, ৩০শে অক্টোবর থেকে শুরু হবে এবং ১৩ দিন ধরে চলবে, ১০ই নভেম্বর পর্যন্ত। এই উদ্দেশ্যে একটি নোটাম (বিমানসেনাদের জন্য নোটিশ) জারি করা হয়েছে। অপারেশন ত্রিশূল দেখে শত্রু হতবাক হয়ে যাবে।
১৩ দিনের এই মহড়া ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অনুষ্ঠিত হবে সর্ববৃহৎ, যেখানে তিন বাহিনীর ৩০,০০০ সৈন্য অংশগ্রহণ করবে। এটি একসাথে তিনটি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর শক্তি প্রদর্শন করবে। অপারেশন ত্রিশুলে, দেশের তিনটি সেনাবাহিনীই একীভূত অভিযান, গভীর আক্রমণ এবং বহু-ক্ষেত্রীয় যুদ্ধ অনুশীলন করবে।
মহড়ার সময় কোন কোন অভিযান পরিচালিত হবে?
• খাল এবং মরুভূমি অঞ্চলে আক্রমণাত্মক অভিযান (Offensive Manoeuvres),
• সৌরাষ্ট্র উপকূল বরাবর উভচর অভিযান (Amphibious Operations),
• এবং গোয়েন্দা, নজরদারি এবং পুনঃনিরীক্ষণ (ISR), ইলেকট্রনিক যুদ্ধ (EW) এবং সাইবার ক্ষমতা সহ বহু-ডোমেন অপারেশন পরিচালনা করে।
ত্রিশূল কেবল একটি মহড়া নয় বরং এটি একটি কৌশলগত উদ্যোগ যা একই সাথে ভারতের স্বনির্ভরতা এবং পরিচালনাগত সক্ষমতা প্রদর্শন করে। এই লক্ষ্যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর মধ্যে একটি যৌথ সমন্বিত কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা এই মহড়ার মেরুদণ্ড।



