৯ মে রাত, আরব সাগরের বুকে ভারতের (Operation Sindoor) যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ ও যুদ্ধবিমানের মহড়া তখন চূড়ান্ত প্রস্তুতির শেষধাপে। করাচি বন্দর এবং বিমানবন্দরOperation Sindoor) ছিল সরাসরি নিশানায়। দেশের তিন বাহিনীর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য—ভারত Operation Sindoor) তখন শুধু সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায়, মুহূর্তে ধ্বংস করতে পারত করাচি বিমানবন্দর। ভারতীয় নৌসেনার ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ স্পষ্ট জানান, “আমরা করাচিকে সম্পূর্ণ অচল করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।”
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সূচনা ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে Operation Sindoor) ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা এই হামলা চালানোর পরই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মাত্র ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় নৌসেনা যুদ্ধের উপযুক্ত সামরিক মহড়া সম্পন্ন Operation Sindoor) করে। যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ও মিগ-২৯ কুব যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয় আরব সাগরে। করাচি বন্দর ও বিমানবন্দরকে সম্ভাব্য টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ভাইস অ্যাডমিরাল প্রমোদ আরও বলেন, “পাকিস্তানের নৌসেনাকে কার্যত ঘিরে ফেলা হয়। আমাদের নজরদারির ভয়ে তারা করাচি বন্দরের বাইরে বের হতে পারেনি। পুরোপুরি বন্দরবন্দি Operation Sindoor) পড়ে পাক নৌবাহিনী।” এই কৌশলগত অবস্থান পাকিস্তানের সামরিক কার্যকলাপকে বড়সড় ধাক্কা দেয়।
এদিকে, ভারতীয় বায়ুসেনার কার্যক্রম Operation Sindoor) নিয়েও বিস্তারিত তথ্য দেন এয়ার মার্শাল একে ভারতী। তিনি জানান, ৭ মে ভারতের বিমানবাহিনী বহাওয়ালপুর এবং মুরিদক এলাকায় জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে সফলভাবে হামলা চালায়। বহাওয়ালপুরে ছিল জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, আর মুরিদকে ছিল লস্কর-ই-তইবার প্রশিক্ষণ শিবির। এই আক্রমণের ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ করা হয়, যা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর মনোভাব স্পষ্ট করে।
এদিকে পাকিস্তানও সংঘর্ষে জড়াতে চেষ্টা করে। ডিজিএমওOperation Sindoor) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, ৯ ও ১০ মে রাতে পাকিস্তান ভারতীয় আকাশসীমায় ড্রোন ও যুদ্ধবিমান প্রবেশ করিয়ে সামরিক Operation Sindoor) ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করে। যদিও বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়, কিছু হামলায় ক্ষয়ক্ষতি Operation Sindoor) হয়, তবে বড়সড় ক্ষতি হয়নি। পালটা প্রতিরোধে ভারতীয় বাহিনীর হামলায় ৩৫-৪০ জন পাক সেনার মৃত্যু হয়।
ভারতের পক্ষ থেকেও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—সশস্ত্র বাহিনীর ৫ জন বীর জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। তবে ভারতীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে দেয়, দেশ যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়; কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, আগ্রাসন সহ্য করা হবে।
এয়ার মার্শাল ভারতী জানান, পাকিস্তানের চাকলালা, রফিকি-সহ Operation Sindoor) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে লক্ষ্যবস্তু বানায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। এগুলিকে ধ্বংস করার পূর্ণ সামর্থ্য ছিল ভারতের, কিন্তু নিয়ন্ত্রিত জবাব দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল একটাই—কড়া বার্তা দেওয়া যে, সন্ত্রাসবাদ এবং সীমান্তলঙ্ঘন সহ্য করা হবে না।
অবশেষে, পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে ১০ মে বিকেলে। পাকিস্তানের Operation Sindoor) তরফ থেকে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং ভারত সেই শান্তি প্রস্তাব মেনে নেয়। তবে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়, যে কোনও আগ্রাসনের কড়া জবাব দেওয়া হবে—প্রয়োজনে করাচি ধ্বংস করতেও পিছপা হবে না ভারত।
ভারতের কৌশলগত এই পদক্ষেপ শুধু সামরিক সাফল্য নয়, কূটনৈতিকOperation Sindoor) দিক থেকেও এক শক্ত বার্তা—দেশের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষার জন্য কোনও আপস নয়।