ভারত, ৩ অক্টোবর: ভারতীয় বায়ুসেনার (Air Force) প্রধান, এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং শুক্রবার এক প্রেস কনফারেন্সে অপারেশন সিঁদুরকে ফের বছরের “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযান” হিসেবে অভিহিত করেন। ৩ অক্টোবর হিন্ডন এয়ারবেসে অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক বায়ুসেনা দিবস প্যারেডের আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, এই অপারেশন ছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি বড় মাইলফলক।
তিনি বলেন, “আমরা পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ৩০০ কিলোমিটার ভিতরে সফলভাবে আঘাত হেনেছি। এটা ছিল এক ঐতিহাসিক ‘কিল’। আমাদের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স কাঠামো এবং ত্রিবাহিনীর সমন্বিত পরিকল্পনার ফলেই এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে।”
এয়ার চিফ মার্শাল স্পষ্টভাবে বলেননি যে পাকিস্তানের কোন সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে বা কোন ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এই হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, তিনি সম্ভবত রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত উন্নত S-400 ট্রায়াম্ফ সিস্টেমের কথাই ইঙ্গিত করেছেন, যেটির পাল্লা ৪০০ কিলোমিটারের বেশি এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমগুলোর একটি।
এই অপারেশনে S-400 ব্যবহৃত হয়ে থাকলে, এটি ভারতের জন্য একটি বড় কৌশলগত প্রভাব সৃষ্টি করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কারণ এই ধরনের দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে শত্রুর গভীরে আঘাত হানা সম্ভব, যা প্রতিরক্ষা ও পাল্টা হামলার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করে।
এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং জানান, এই অপারেশন ছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর প্রথম এত বড় মাপের প্রকাশ্য সামরিক সাফল্য*। তাঁর কথায়, “আমরা নির্ভুলতার সঙ্গে আঘাত হেনেছি, শত্রুপক্ষের ক্ষয়ক্ষতি করেছি, কিন্তু নিজেদের ক্ষতি রাখছি ন্যূনতম। এক রাতের অপারেশনেই শত্রুপক্ষকে নতজানু করতে পেরেছি।”
এই অপারেশন শুধু বায়ুসেনার সাফল্য নয়, সেনা, নৌ এবং বায়ুসেনার যৌথ কৌশলগত পরিকল্পনার ফলাফল। সিং বলেন, “ত্রিবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা এমন এক অপারেশন সফল করেছি, যা কেবল মাত্র প্রযুক্তি নয়, মনোবল ও কৌশলেরও জয়।”