অনলাইন মানি গেমিং বন্ধ হতে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সাক্ষাৎ সংস্থার প্রতিনিধিদের

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি অর্থের বিনিময়ে অনলাইন গেমিং-এ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫ সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে…

অনলাইন মানি গেমিং বন্ধ হতে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সাক্ষাৎ সংস্থার প্রতিনিধিদের

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি অর্থের বিনিময়ে অনলাইন গেমিং-এ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫ সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে বিলটি দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং অ্যাক্ট,২০২৫ এ পরিণত হয়েছে। জানানো হয়, টাকা দিয়ে অনলাইন গেম খেলার ব্যবস্থা করলে সংস্থাগুলির ৩ বছরের জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা উশুল করা হবে। এমনকি এমন গেমের বিজ্ঞাপন দিলেও ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা ভরতে হবে সংস্থাগুলিকে।

এরপরেই কার্যত হুলুস্থুল পড়ে যায় অনলাইন মানি গেম সংস্থার অফিস গুলিতে। এই আবহে ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করলেন অনলাইন গেমিং ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ই-স্পোর্টস এবং সোশ্যাল গেমিং-এর প্রচার বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।

   

আইন করে অনলাইন মানি গেমিং বন্ধের পর ব্যবহারকারীদের অর্থের নিরাপত্তার বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। নতুন প্রণয়িত আইনের প্রতি তাঁদের পূর্ণ সম্মতি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন অনলাইন গেমিং সংস্থার প্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের বুধবার লোকসভা এবং বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পাশ হয় প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫। ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের পর বিলটি দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং অ্যাক্ট,২০২৫ এ পরিণত হয়।

Advertisements

এই আইনের আওতায় সার্ভিস প্রোভাইডার, বিজ্ঞাপক, প্রোমোটার এবং যারা আর্থিক ভাবে অনলাইন মানি গেমিং সংস্থাকে সাহায্য করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও ব্যবহারকারীদের উপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না। অন্যদিকে এই আইনের মাধ্যমে ই-স্পোর্টস এর প্রচার বাড়ানো এবং আইনি স্বীকৃতি দিতে চাইছে সরকার বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, আগে ই-স্পোর্টসের ক্ষেত্রে কোনও আইনি সহযোগিতা ছিল না। তবে বর্তমানে যুব কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এটিকে আইনি সহায়তা এবং প্রচারে সাহায্য কড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য, এই আইনের মাধ্যমে ভালো জিনিসকে উৎসাহ দেওয়া। ভারতকে একটি গেম-হাব বানানোর লক্ষ্যে আমরা ইন্সটিটিউট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস অ্যান্ড গেমিং প্রস্তুত করেছি। আমাদের লক্ষই হল সমাজের জন্য ভালো জিনিসগুলোকে তুলে ধরা।”