“এক রুট, এক ভাড়া”, বিমানযাত্রীদের জন্য বড় সুখবর!

নয়াদিল্লি: সবচেয়ে সুরক্ষিত এবং কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র পরিবহণ মাধ্যম হল বিমান (Flight)। কিন্তু উৎসবের মরশুম হোক বা আপৎকালীন পরিস্থিতি, বিমানের ভাড়া দেখে মাথায় হাত পড়ে আমজনতার। সুযোগ বুঝে ঠিক যাত্রী চাপ দেখে ভাড়া বাড়িয়ে দেয় বিমান কোম্পানিগুলি। কিন্তু এবার হয়ত এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।

Advertisements

ট্রেনের মত এবার বিমানের ক্ষেত্রেও এক রুটের জন্য একটি নির্দিষ্ট ভাড়া ধার্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে দেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক (Union civil aviation ministry)। এদিন কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু কিঞ্জারাপু সরকারি মালিকানাধীন আঞ্চলিক বিমান সংস্থা অ্যালায়েন্স এয়ারের ‘ফেয়ার সে ফুরসত’ (‘ভাড়া চাপ থেকে মুক্তি’) প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

   

একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্যই হল যাত্রীদের বিমান ভাড়ার ওঠানামার চাপ থেকে মুক্তি দেওয়া এবং দেশে বিমান চলাচলের সহজতা বৃদ্ধি করা। ‘ফেয়ার সে ফুরসত’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব সমীর কুমার সিনহা, অ্যালায়েন্স এয়ারের চেয়ারম্যান অমিত কুমার এবং সিইও রাজর্ষি সেন।

  • ‘ফেয়ার সে ফুরসত’ ১৩ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত পাইলট ভিত্তিতে নির্বাচিত রুটগুলিতে চালু করা হবে। যাতে পরিচালনার সম্ভাব্যতা এবং যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া মূল্যায়ন করা যায়।
  • স্থির ভাড়া ব্যবস্থাটি বিমান ভাড়ার ওঠানামার সাথে সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা এবং চাপ দূর করে, এমনকি শেষ মুহূর্তের বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও খরচের পূর্বাভাস নিশ্চিত করবে বলে জানানো হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কিঞ্জারাপু বলেন, “এই প্রকল্পটি উড়ান প্রকল্পের মূল নীতির সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।” তিনি নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘উড়ে দেশ কা আম নাগরিক’ (সাধারণ মানুষকে উড়তে দিন) প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।

নরেন্দ্র মোদীর মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে বিমান খরচ আনার পরিকল্পনাকেই বাস্তবায়িত করতে চলেছে অ্যালায়েন্স এয়ার, বলে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী। বিমানবন্দরে উড়ান যাত্রী ক্যাফের কথাও এদিন উল্লেখ করেন তিনি। যেখানে ১০ টাকায় চা ও টাকা মূল্যের টুকটাক খাবার পাওয়া যায়।

Advertisements

অ্যালায়েন্স এয়ার কি?

অ্যালায়েন্স এয়ারের অধীনে ১৮ টি ATR72-600 বিমান রয়েছে যার প্রতিটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭২ জন। এছাড়াও দুটি ATR42-600 বিমান রয়েছে, যেগুলির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৪৮ এবং একটি Dornier Do-228 ছোট বিমান রয়েছে যাতে ১৭ জন যাত্রী বসতে পারবেন।

ভুবনেশ্বর, ভুজ, দিউ, গোরক্ষপুর, গুয়াহাটি, জবলপুর, কুলু, রাউরকেলা, শিমলা, শিলচর এবং তিরুপতির মত শহরে এই বিমানগুলি চলবে। ভুবনেশ্বর থেকে রাউরকেলা, দিল্লি-সিমলা, হায়দ্রাবাদ-তিরুপতি এবং কলকাতা-গুয়াহাটির মতো রুটে বিমান পরিষেবা প্রদান করবে এই বিমান সংস্থা।