“একতরফা”! মোদী–পুতিন সৌহার্দ্যের মাঝে ট্রাম্পের তির্যক বার্তা!

নয়াদিল্লি: জিনপিং এবং পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য “একতরফা” বলে দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সন্ধায় এক্স-এ তিনি…

EY Forecast: India’s Economic Momentum to Outpace Developed Nations

নয়াদিল্লি: জিনপিং এবং পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য “একতরফা” বলে দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সন্ধায় এক্স-এ তিনি লেখেন, “কম মানুষই জানেন যে ভারতের সঙ্গে আমরা খুব কম বাণিজ্য করি। তার পরিবর্তে ভারত আমাদের কাছে বিপুল পণ্য রফতানি করে। আমেরিকা তাদের অন্যতম বড় খরিদ্দার। বহু দশক ধরেই ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক একতরফা।”

সেইসঙ্গে তিনি আরও লেখেন, “আমেরিকার কাছ থেকে পণ্য কিনতে ব্যাপক শুল্ক নেয় ভারত।” আমেরিকা-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ককে “একতরফা বাণিজ্যিক বিপর্যয়” বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। সেইসঙ্গে, রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে তেল এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনে বলে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। “ভারত বর্তমানে আমদানি শুল্ক শূন্য করে দিয়েছে। কিন্তু এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। অনেকবছর আগেই ভারতের এটি করা উচিৎ ছিল।

   

উল্লেখ্য, রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার ‘অপরাধে ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০% শুল্ক চাপায় আমেরিকা। শুল্ক নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখ রাঙানি জবাবে তিয়ানজিনে SCO বৈঠকে রাশিয়ার পাশাপাশি চিন, জাপানের সঙ্গে সৌহার্দ্য আদানপ্রদান করে ভারত।

Advertisements

বস্তুত, আমেরিকার সঙ্গে ভারত, রাশিয়া এবং চিন তিন দেশেরই সম্পর্ক অস্বস্তিকর। ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্যশুল্ক ও ভূরাজনৈতিক চাপের প্রেক্ষাপটে তিয়ানজিনে এই সৌহার্দ্যের বার্তা যেন এক নতুন আঞ্চলিক সমীকরণের ইঙ্গিত দেয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্পের ফের “সময় শেষ”-এর হুঁশিয়ারি নতুন করে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।