সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ (Omar Abdullah) জম্মু শহরে পুলিশের গুলিতে নিহত গুজ্জর যুবক পারভেজ আহমেদের শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। বৃহস্পতিবার সাতোয়ারি এলাকায় পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের তাড়া করার সময় ক্রসফায়ারে নিহত হন জম্মুর নিকি তাউই এলাকার বাসিন্দা পারভেজ আহমেদ।
শ্রীনগর থেকে সরাসরি জম্মুতে এসে মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ আহমেদের বাড়িতে যান এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী জাভেদ রানা(Javed Rana) ও উপদেষ্টা নাসির আসলাম ওয়ানি(Nasir Aslam Wani)।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মিঃ আবদুল্লাহ ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে পুলিশের বলপ্রয়োগ অবশ্যই “নির্বিচার” নয়, বরং সুশৃঙ্খলভাবে করতে হবে।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রাদেশিক সম্পাদক শেখ বশির আহমেদ জানান, “পরিবার ওমর আবদুল্লাহর সাথে কথা বলেছে, যিনি তাদের শোক প্রকাশ করতে এবং তাদের দুঃখ ভাগ করে নিতে তাদের সাথে দেখা করেছিলেন। তিনি তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে ন্যায়বিচার হবে।”
তিনি আরোও বলেন, “বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। মানুষ পুলিশ বিষয়ক তত্ত্বাবধানকারী লেফটেন্যান্ট গভর্নরের (মনোজ সিনহা) দিকে তাকিয়ে আছে। একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা যাক।”
শেখ বশির আহমেদের কথায়, “তদন্তের পর যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। আমরা আশা করি মামলাটি তার যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছাবে এবং আদালত উপযুক্ত শাস্তি দেবে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পারভেজ আহমেদ নিহত হওয়ার পর গুজ্জর সম্প্রদায় বিক্ষোভ শুরু করেছে। নিহতের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, পরিকল্পিত ‘এনকাউন্টার’-এ একজন নিরপরাধকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “পুলিশের বলপ্রয়োগের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং তা নির্বিচারে করা যাবে না। অতীতে এই ধরণের ঘটনার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে।” এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং গভীরভাবে দুঃখজনকও বলেন তিনি।
এছাড়া উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী রবিবার নিহতের বাড়িতে গিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান। তার আগে শনিবার ন্যাশনাল কনফারেন্সের মন্ত্রী জাভেদ রানা পরিবারটির সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি, এ ঘটনার পর কংগ্রেস ও বিজেপির নেতারাও পারভেজ আহমেদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ও সমবেদনা জানিয়েছেন।