দিঘায় নতুন জগন্নাথ মন্দিরে আরাধনা শুরুর পর থেকেই (Jagannath Temple) তোলপাড় ধর্মীয় মহল। আর এবার বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এল পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের এক অভিনব ও বিতর্কিত পদক্ষেপ—পুজোর রীতিনীতির উপর ‘কপিরাইট’ নেওয়ার প্রক্রিয়া।(Jagannath Temple)
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং(Jagannath Temple) পুরীর সম্মানীয় রাজা গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব নিজেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, মন্দিরের রীতিনীতি, আচার-আচরণ, বিশেষ করে রথযাত্রা, স্নানযাত্রার মতো বার্ষিক ধর্মীয় আচারগুলি সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী পালিত হয়। কিন্তু সেই রীতির যথাযথ সম্মান না রেখেই ইসকন (ISKCON) বিশ্বজুড়ে নিজেদের মতো করে পুজো ও উৎসব পালন করছে। আর তাতেই নাকি আঘাত লাগছে বহু ভক্তের ধর্মীয় ভাবাবেগে।(Jagannath Temple)
কী বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ?
পুরীর মতে, রথযাত্রা বা স্নানযাত্রা শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়—এগুলি হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় আচার, যার প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট বিধি-বিধান অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। দিব্যসিংহ দেব জানান, “ইসকনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। মায়াপুরের সদর দপ্তরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। (Jagannath Temple) আশা করছি, তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।”
তবে এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও জানান, ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যেই রীতিনীতির কপিরাইট নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সরকারি সূত্রেও খবর, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই নিয়ে খসড়া প্রস্তাব তৈরি হয়েছে এবং তা বিচার-বিশ্লেষণের পর্যায়ে রয়েছে।
কপিরাইট কি ধর্মে চলে?
এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। (Jagannath Temple) প্রশ্ন উঠছে—পুজোর রীতিনীতি কি আদৌ ‘কপিরাইট’ করা যায়? ধর্ম তো বিশ্বাস ও চর্চার জায়গা। সেখানে যদি কেউ ভুলও করেন, তা সংশোধনের চেষ্টা হতে পারে, কিন্তু তার উপর আইনি মালিকানা দাবি কি যুক্তিসঙ্গত?(Jagannath Temple)
অনেকে বলছেন, যদি কপিরাইট নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে অন্য কোথাও একইভাবে রথযাত্রা পালন করা বেআইনি হয়ে দাঁড়াবে। ধর্মের আচারকে যদি কেউ আইনগত পেটেন্ট বা কপিরাইটের আওতায় নিয়ে আসেন, তাহলে তো তা একপ্রকার ধর্মাচরণে বাধা দেওয়ারই নামান্তর।(Jagannath Temple)
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যেমন ব্র্যান্ড বা পণ্য কপিরাইট হয়, ধর্মীয় রীতিনীতির ক্ষেত্রেও যদি সেই পথ অনুসরণ করা হয়, তাহলে তা এক ধরনের সাংস্কৃতিক একাধিকার (monopoly) তৈরি করবে। এক ধর্মের মধ্যে একাধিক গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় থাকতে পারে, যাঁরা নিজ নিজ পদ্ধতিতে আরাধনা করে থাকেন। সেই বহুত্ববাদের মধ্যে একক নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দেওয়া সংবিধানসম্মত নাও হতে পারে।(Jagannath Temple)