ধেয়ে আসছে বিধ্বংসী সাইক্লোন ‘আসনা’, রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে একটি গভীর নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার দাপটে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টি চলছে। কিন্তু এরই মাঝে এবার চোখ রাঙাচ্ছে…

বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে একটি গভীর নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার দাপটে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টি চলছে। কিন্তু এরই মাঝে এবার চোখ রাঙাচ্ছে একটি ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছেন ‘আসনা’ (Cyclone Asna)। আর এই আসনার দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে রাজ্যজুড়ে।

ইতিমধ্যে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে বহু নদী। জায়গায় জায়গায় সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এই আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের জন্য আশঙ্কার প্রহর গুনছেন গুজরাট রাজ্যবাসী। এমনিতে গুজরাটে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভদোদরা-সহ একাধিক শহরেই বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, নদী থেকে কুমির ভেসে এসে বাড়ির ছাদে পৌঁছে গেছে।

   

একই সঙ্গে আবহাওয়া দফতরের আরেকটি আপডেটে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সকলের মধ্যে। গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। আইএমডি জানিয়েছে, গুজরাটের সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে, যা শুক্রবার আরব সাগরের উপর দিয়ে উঠবে এবং ওমান উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের উপর অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে কচ্ছ ও সংলগ্ন পাকিস্তান উপকূল থেকে উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে উঠে শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

আইএমডির আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, অগাস্ট মাসে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া একটি বিরল কার্যকলাপ। ১৯৪৪ সালের ঘূর্ণিঝড়টিও আরব সাগরে তৈরি হওয়ার পরে তীব্রতর হয়েছিল এবং পরে সমুদ্রের মাঝখানে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ১৯৬৪ সালে, দক্ষিণ গুজরাট উপকূলের কাছে একটি ছোট ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল এবং উপকূলের কাছে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। একইভাবে গত ১৩২ বছরে বঙ্গোপসাগরে আগস্ট মাসে এ ধরনের মোট ২৮টি সিস্টেম তৈরি হয়েছে।

আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জুন থেকে ২৯ আগস্টের মধ্যে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ অঞ্চলে ৭৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যেখানে একই সময়ে স্বাভাবিক ৪৩০.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে ৮৬ শতাংশ বেশি ছিল। এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও সংলগ্ন দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের ওপর দিয়ে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।