ভারতের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত গ্যাংস্টারদের একজন ননী রানাকে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ননী রানার গ্রেফতারের খবর ভারতের অপরাধ দমন বিভাগের মধ্যে নতুন ধাক্কা তৈরি করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নায়াগ্রা সীমান্তে তিনি বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন, যখন তিনি আমেরিকা থেকে কানাডায় পালানোর চেষ্টা করছিলেন। ননী রানার গ্রেফতারি তার কুখ্যাত ভাই কালা রানার সঙ্গে তার অপরাধমূলক সম্পর্কের আলোকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
ননী রানার বিরুদ্ধে ভারতের একাধিক রাজ্যে নানা ধরনের গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের মধ্যে রয়েছে তোলাবাজি, খুন, অপহরণ এবং অন্যান্য হিংসাত্মক অপরাধ। দেশীয় অনুসন্ধানকারী সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে যে, ননী রানার বাড়ি হরিয়ানায়। বর্তমানে তাকে ভারতের কাছে প্রত্যর্পণের জন্য প্রক্রিয়া চলমান।
নগর পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ননী রানার অবস্থা আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আইনের অধীনে নজরে রাখা হচ্ছে। তার গ্রেপ্তারের ফলে অপরাধ দমনে একটি বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিশেষত, সম্প্রতি ভারতের দিকে ফেরানো হয়েছে গ্যাংস্টার আনমোল বিষ্ণোইকে, যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ননী রানার গ্রেপ্তারি আনমোল বিষ্ণোইয়ের ফেরানোর প্রেক্ষাপটে আরও গুরুত্ব পাচ্ছে।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ননী রানার বিরুদ্ধে প্রমাণসংক্রান্ত তথ্য একাধিক রাজ্য পুলিশের কাছে রয়েছে। তার দীর্ঘদিনের অপরাধমূলক কার্যকলাপের কারণে পুলিশ বিশেষ নজর রাখছিল। সূত্রের খবর, ননী রানার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র ভারতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি আন্তর্জাতিকভাবে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করছিলেন। এ কারণে তার খোঁজে বিভিন্ন দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একত্রিতভাবে কাজ করেছে।
নাগরিক সমাজের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ননী রানার গ্রেপ্তারি ভারতের অপরাধ দমন ক্ষমতার জন্য একটি বড় জয়। বিশেষত, গ্যাংস্টার কালা রানার সঙ্গে তার সম্পর্ককে মাথায় রেখে বলা যায়, দেশের বৃহত্তর অপরাধ চক্রে প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, ননী রানার মতো আন্তর্জাতিক অপরাধীকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া আইন ও নীতি মেনে পরিচালনা করা হবে।
নায়াগ্রা সীমান্তে তার গ্রেপ্তারের সময় কিভাবে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে তা নিয়ে কিছু বিস্তারিত জানা গেছে। আমেরিকান পুলিশ ও সীমান্ত কর্তৃপক্ষের সমন্বিত অভিযান ননী রানার আটক নিশ্চিত করেছে। সূত্রের খবর, ননী রানার পালানোর পরিকল্পনা ছিল খুবই সাবধানতার সঙ্গে করা। তবে আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সতর্ক নজর এবং তথ্য বিনিময়ের ফলে তার পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।


