আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করবে ভারত

Missile Test: ভারত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে দুটি পৃথক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এর জন্য NOTAM জারি করা হয়েছে। এই পরীক্ষাগুলি ভারতের…

missile test representational image

Missile Test: ভারত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে দুটি পৃথক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এর জন্য NOTAM জারি করা হয়েছে। এই পরীক্ষাগুলি ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা প্রদর্শন এবং তাদের আরও উন্নত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়ার অংশ। এই পরীক্ষার তারিখগুলি 15 থেকে 17 জানুয়ারি এবং 19 থেকে 20 জানুয়ারি, 2025 তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পরীক্ষার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি নো-ফ্লাই জোন কার্যকর করা হয়েছে।

  • প্রথম পরীক্ষা (জানুয়ারি 15-17, 2025): এলাকাটি 380 কিমি বিস্তৃত হবে, যা ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনার জন্য একটি বড় এলাকা।
  • দ্বিতীয় পরীক্ষা (জানুয়ারি 19-20, 2025): এই পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ 405 কিমি দৈর্ঘ্যের এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ক্ষমতা নির্দেশ করে।

একটি নৌ যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি পরীক্ষা পরিচালিত হতে পারে
উভয় পরীক্ষা এলাকাই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে অবস্থিত। এই দ্বীপগোষ্ঠীটি ভারত মহাসাগরে ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথের কাছাকাছি। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রের জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষমতা বা নৌ-মঞ্চ থেকে স্থল আক্রমণের ক্ষমতা প্রদর্শন করা যায়।

দ্বিতীয় পরীক্ষায় ভারতীয় বায়ুসেনার Su-30MKI যুদ্ধবিমান ব্রহ্মোস-এ ক্ষেপণাস্ত্রের বায়বীয় সংস্করণ উৎক্ষেপণ করতে পারে। এই পরীক্ষাটি ক্ষেপণাস্ত্রের অপারেশনাল রেঞ্জ, নির্ভুলতা এবং বায়ু সেনার উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা প্রদর্শন করবে। বায়ুসেনার শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার দিকেও নজর দিচ্ছে ভারত সরকার।

Advertisements

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা জোরদার করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ভারত ও আমেরিকা যৌথভাবে সোনার বয়া নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এটি একটি বিশেষ প্রযুক্তি যা সমুদ্রে সাবমেরিন সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এতে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়বে।