বেঙ্গালুরু: কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার (Bengaluru Central Jail) না হোটেল? শনিবার বেঙ্গালুরুর পারাপ্পনা অগ্রহার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হতেই তাজ্জব বনে গিয়েছে দেশবাসী। এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধুমাত্র টিভি, মোবাইল ফোন নয়, বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে (Bengaluru Central Jail) বন্দীদের রীতিমত ফল, বাদাম সাজিয়ে বসে মদ্যপানের আসর বসেছে, বাসন বাজিয়ে চলছে গান আর তার তালে উদ্যাম নাচে মেতেছেন অন্যান্য বন্দীরা। ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি Kolkata 24×7। শনিবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে দেশ। আর একটাই প্রশ্ন উঠে আসছে, কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোথায়?
জেলের ভেতর ফোন স্ক্রল করছিল ISIS নিয়োগকারী!
শনিবার প্রকাশিত ভিডিওগুলিতে, জুহাইব হামিদ শাকিল মান্না নামক এক ISIS নিয়োগকারীকে ফোনে স্ক্রোল করতে এবং চা খেতে দেখা যায়। ভিডিওতে আশেপাশে রেডিও বা টেলিভিশনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) অনুসারে, শাকিল মান্না সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করত, মুসলিম যুবকদের মৌলবাদীতে পরিণত করত এবং আইসিসে যোগদানের জন্য অবৈধভাবে সিরিয়ায় পাঠিয়েছিল।
সেইসঙ্গে ভিডিওতে ধরা পড়ে উমেশ রেড্ডী নামক একজন সিরিয়াল কিলার ও খুনি। ১৯৯৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ২০ জন মহিলাকে ধর্ষণ ও ১৮ টি খুনের দায়ে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রেড্ডীর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তি দেয়।
উমেশের পাশাপাশি, দেখা গিয়েছে তরুন রাজা নামক আরও এক আসামিকে। জানা গিয়েছে, রান্য রাও সোনা পাচার মামালায় সাজাপ্রাপ্ত তরুনকে জেলের ভেতর মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রান্না করতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। জেনেভায় পালানোর চেষ্টা করার সময় তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
কি করছে প্রশাসন?
শনিবার কর্ণাটক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) ভিডিও গুলির সত্যতা যাচাই করে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। গতকালের ভিডিওগুলির তদন্ত শুরু করেছে কারা বিভাগ। রবিবার সকালে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে তিনি এই ধরনের গাফিলতি সহ্য করবেন না।
