নয়াদিল্লি, ১৩ অক্টোবর: ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ড (Northern Command) একটি প্রধান এবং অত্যাধুনিক ত্রি-সেবা মহড়া “বিদ্যুৎ বিভোদ” (Vidyut Vidhhwans) শুরু করেছে। এই মহড়া কেবল প্রচলিত যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এখন যুদ্ধের সংজ্ঞা ছাড়িয়ে মহাকাশ, তড়িৎ চৌম্বকীয়, সাইবার এবং জ্ঞানীয় ক্ষেত্রে দেশের সামরিক প্রস্তুতি পরীক্ষার একটি প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠছে।
জানা গেছে যে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক মহড়া, যাতে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর সৈন্যরা অংশগ্রহণ করে। অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তির সাহায্যে, সৈন্যরা যুদ্ধের নতুন সংজ্ঞা দিচ্ছে। এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হল ভবিষ্যতের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধের কৌশলগুলিকে আরও তীক্ষ্ণ করা, যাতে ভবিষ্যতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে তার জবাব দেওয়া যায়।
তিন সেনাবাহিনী যৌথভাবে তাদের প্রস্তুতি পরীক্ষা করে
সূত্রের খবর, মহড়ার সময়, তিন সেনাবাহিনী যৌথ অপারেশনাল সক্ষমতা জোরদার করার পাশাপাশি আন্তঃকার্যক্ষমতা, অর্থাৎ একে অপরের সাথে সমন্বয়ের দিকে কাজ করছে। উপরন্তু, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির অংশগ্রহণের মাধ্যমে, এই অনুশীলনকে আরও ব্যাপক এবং কার্যকর করা হয়েছে।
ভারতীয় বাহিনী এখন সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এবং প্রস্তুত
নর্দার্ন কমান্ড বলেছে যে ‘বৈদ্যুতিক ধ্বংস’ কেবল প্রচলিত যুদ্ধ দক্ষতার পরীক্ষা নয়, বরং এটি ইঙ্গিত দেয় যে ভারতীয় বাহিনী এখন সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এবং যুদ্ধের নতুন মাত্রার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। এই মহড়া আরও প্রমাণ করে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী পরিবর্তনশীল সময় এবং প্রযুক্তিগত যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।