ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর উপকূলে বৃহস্পতিবার এক ভয়ঙ্কর ৭.০ মাত্রার ভূমিকম্প (Earthquake) এবং এর পরবর্তী একাধিক আফটারশকের (Earthquake) কারণে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই আফটারশকগুলির মাত্রা ছিল ২.৫ থেকে ৪.৭ এর মধ্যে এবং প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে তা বারবার আঘাত হানে। এই ভূমিকম্প (Earthquake)এবং আফটারশকগুলি সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে পেট্রোলিয়া শহর থেকে ১০ থেকে ৪০ মাইলের মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (USGS)-এর তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে শক্তিশালী আফটারশক, যার মাত্রা ছিল ৪.৭, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে আঘাত হানে। এটি ছিল মূল ভূমিকম্পের(Earthquake)পর একাধিক আফটারশকের একটি। ভূমিকম্পের (Earthquake) প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই অন্তত ১০টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়। এর বেশিরভাগই পেট্রোলিয়া এবং এর আশপাশের অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত ছিল।
তীব্র কম্পনের প্রভাব শুধু পেট্রোলিয়া নয়, কাছাকাছি অঞ্চলের শহর যেমন ফের্নডেলেও অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের (Earthquake) কারণে আতঙ্কিত মানুষজন দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেন। সান ফ্রান্সিসকোর অ্যালকাট্রাজ দ্বীপে অপারেশন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল, কারণ জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার বড় অংশের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল।
মূল ভূমিকম্প,(Earthquake) যা ফের্নডেলের প্রায় ৬০ মাইল দূরে এবং সমুদ্রের নিচে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরতায় আঘাত হানে, জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সুনামি সতর্কতা জারি করে। এই সতর্কতা ফোন এবং ওয়েব ব্রাউজারে প্রেরণ করা হয়। তবে, প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয় যখন পরিষেবা জানায় যে সুনামির আর কোনো হুমকি নেই।
অ্যালকাট্রাজ সিটি ক্রুজের মুখপাত্র কর্নেলিয়াস গিয়ারির মতে, সতর্কতার সময় দ্বীপে প্রায় ২০০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তাদের সবাইকে সেসময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফেরি পরিষেবা পুনরায় শুরু হয় এবং অতিথিরা পিয়ার ৩৩-এ ফিরে আসতে সক্ষম হন।
USGS-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে আঘাত হানে। তবে, এই ভূমিকম্প বা তার পরবর্তী আফটারশকের কারণে কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এই ধরনের ভূমিকম্প সাধারণত প্লেট টেকটোনিকসের কারণে ঘটে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট এবং উত্তর আমেরিকান প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ এই ভূমিকম্পের জন্য দায়ী হতে পারে। উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত, এবং অতীতে এই অঞ্চলে বড় বড় ভূমিকম্প হয়েছে।
যদিও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ভূমিকম্প পরবর্তী আরও আফটারশকের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকার এবং জরুরি নির্দেশ অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।
এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে সতর্কতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন সুনামি সতর্কতা দ্রুত প্রত্যাহার করতে সক্ষম হলেও, প্রাথমিক প্রস্তুতি এবং সঠিক সময়ে নেওয়া পদক্ষেপ মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে।ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর উপকূলে বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্প এবং তার পরবর্তী আফটারশকগুলি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ালেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ এবং বাসিন্দাদের সঠিক সময়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য