বেঙ্গালুরু, ৩০ সেপ্টেম্বর: মহারাষ্ট্র থেকে প্রবেশকারী প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে উত্তর কর্ণাটকের কল্যাণ কর্ণাটক অঞ্চল বন্যার মুখোমুখি হয়েছে। কালবুরাগি, বিদার, ইয়াদগিরি এবং বিজয়পুর জেলাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, যেখানে অনেক গ্রাম পুরোপুরি জলে ডুবে গেছে। এ পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী (এসডিআরএফ) দলগুলো দিনরাত ছুটোছুটি করে আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধার করছে। বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কবাণী জারি করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে মহারাষ্ট্রের উজানি এবং নীরা বাঁধ থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার কারণে কৃষ্ণা এবং ভীমা নদীগুলো ফুঁসছে ।
কর্ণাটক স্টেট ন্যাচারাল ডিজাস্টার মনিটরিং সেন্টার (কেএসএনডিএমসি)-এর সতর্কতায় বলা হয়েছে, ইয়াদগিরি, কালবুরাগি এবং বিদারে ভীমা নদী চরম বন্যার স্তরে প্রবাহিত হচ্ছে, যখন কালবুরাগিতে কাগিনা নদীও একই স্তরে পৌঁছেছে। রাইচুরে কৃষ্ণা নদী, বিজয়পুরে ডোনি নদী এবং বিদারে মঞ্জিরা নদী গুরুতর বন্যার স্তর অতিক্রম করেছে। ফলে, এই জেলাগুলোর অনেক গ্রামে জলের স্রোত ঢুকে পড়েছে, যা বাড়িঘর, ফসল এবং পরিকাঠামোকে ধ্বংস করেছে।
কালবুরাগি জেলায় বন্যার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেন্নেথোরা সহ কয়েকটি নিম্নভূমি গ্রাম সম্পূর্ণ জলে ডুবে গেছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, ৮,০০০-এর বেশি মানুষকে উদ্ধার করে তাদের সাহায্য কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে খাদ্য, জল এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বিদারের ইসলামপুর গ্রামে নেতৃত্বাদায়করা ট্রাক্টরে চড়ে বন্যায় ডুবে যাওয়া কৃষিজমিকে পরিদর্শন করেছেন।
ইয়াদগিরির গোদিহাল গ্রামে ২০০ একর ফসল জলে ডুবে গেছে, এবং জুয়ার্গিতে ভীমা নদী ন্যাশনাল হাইওয়ে ৫০-এর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে, যাতে যানজন আটকে পড়েছে। বিজয়পুরের কুমাসাগি গ্রামে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০ জনেরও বেশি মানুষ, আটকে পড়েছে যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
বন্যায় ৩ জনের জীবন হানি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে দু’জন কৃষক এবং একজন শিশু রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে, এবং কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইয়াদগিরিতে ২২ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১২২ শতাংশ বেশি।
অভিষেক দমদমের দুই মণ্ডপে, রাজনৈতিক ইঙ্গিত নিয়ে সফর
জেলা প্রশাসক হর্ষল ভোয়ার বলেছেন, “রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১,১৬০ জন বন্যা ক্ষতিগ্রস্তকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে, এবং ৫টি সাহায্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে।” কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সতর্কতায় বলা হয়েছে, ইয়াদগিরিতে ভীমা নদী এখনও বিপদের সীমার ২.০২ মিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।