গুয়াহাটি, ২৬ সেপ্টেম্বর : অসমের সাংস্কৃতিক জগতে জুবিনের অকাল প্রয়াণে সবাই শোকাহত (Zubeen Garg)। জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যুতেস্তব্ধ অসম। ১৯ সেপ্টেম্বর মাত্র ৫২ বছর বয়সে সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় হঠাৎ মৃত্যু হয় তার। অসমীয়া সঙ্গীতের ‘কণ্ঠস্বর’ জুবিন শুধু অসম নয়, বাংলা, হিন্দি, ভোজপুরি সহ ৪০টিরও বেশি ভাষায় অসংখ্য হিট গান দিয়েছেন।
‘ও মায়াবিনী’, ‘ইয়া আলি’, ‘জানামি’—এসব গানের সুরে লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন তিনি। গতকাল গম্ভীর রাষ্ট্রীয় সমাদরে তাঁর শেষ যাত্রায় সারা অসম ভেঙে পড়ে। গুয়াহাটির কামারকুচি শ্মশানে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে নেমে এসেছিলেন এই ‘হার্টথ্রব’-কে শ্রদ্ধা জানাতে। ২১-গানের সমাদরে ক্রিমেশন হয়েছে, এবং ভিড়ে গান গেয়ে বিদায় জানিয়েছে ফ্যানরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী সহ নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।কিন্তু এই শোকের মাঝেই এক চাঞ্চল্যকর দাবি উঠেছে। অসমের এক জ্যোতিষী দাবি করেছেন, জুবিন গার্গের পুনর্জন্ম হবে! তেজপুরভিত্তিক জ্যোতিষী দিব্যজ্যোতি সৈকিয়া, যিনি ২০২২ থেকেই জুবিনের জন্মপত্রিকা অধ্যয়ন করছিলেন, বলছেন যে ‘কাল সর্প যোগ’-এর প্রভাবে তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটেছে।
কিন্তু এখানেই থেমে নেই। সৈকিয়া দাবি করেন, ২০২৬ সালের ১৯ এপ্রিলের পর জুবিনের পুনর্জন্ম হবে সিঙ্গাপুরের এক দরিদ্র পরিবারে। “সেই শিশু ৪ বছর বয়স থেকেই গান গাইতে শুরু করবে। ১৪ বছর বয়সে অসমে আসবে এবং সেখান থেকে তার ক্যারিয়ার শুরু হবে,” তিনি বলেন। আরও আশ্চর্যজনক, এই পুনর্জন্ম জুবিন মাইকেল জ্যাকসনের চেয়েও বড় গায়ক হয়ে উঠবেন!
সৈকিয়া জুবিনের জন্মকুণ্ডলীতে (১৮ নভেম্বর ১৯৭১, বৃশ্চিক রাশি, অনুরাধা নক্ষত্র) গ্রহের অবস্থান দেখে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তাঁর মতে, জুবিনের আত্মা অসমের সঙ্গীতকে ছেড়ে যাবে না, বরং নতুন রূপে ফিরে আসবে।এই দাবি সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। কেউ বলছেন, “জ্যোতিষের খেলা,” অন্যরা বলছেন, “আশার আলো।”
জুবিনের ফ্যানরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন—কেউ শোকের মধ্যে আশা খুঁজছেন, কেউ সন্দেহ করছেন। অসম সাহিত্য সভা জুবিনের সম্পূর্ণ কাজ ২০২৬-এ বহুভাষায় প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছে, যাতে তাঁর উত্তরাধিকার সংরক্ষিত হয়। তাঁর শেষ ছবি ‘রয় রয় বিনালে’ ৩১ অক্টোবর মুক্তি পাবে।
টস হারল সূর্য, কিন্তু চমক দিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একাদশ
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, “জুবিন অসমের গর্ব। তাঁর স্মৃতি চিরকাল থাকবে।”জুবিনের প্রয়াণ অসমের সাংস্কৃতিক জগতে শূন্যতা তৈরি করেছে। কিন্তু এই পুনর্জন্মের দাবি শোককে এক অদ্ভুত আশায় রূপান্তরিত করেছে। সত্য কী, তা সময় বলবে। তবে জুবিনের গানগুলো চিরকাল বেজে যাবে।