আগরতলা ২৭ সেপ্টেম্বর: পুজো উদ্বোধন পরে আগে মানুষের সেবা (Durga Puja)। এমনই উদাহরণ দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা দুর্ঘটনার কবলিত ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার নিদর্শন দিয়েছেন। যা রাজ্যের জনগণের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমলঘাটে একটি দুর্গাপুজো মণ্ডপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় একটি সড়ক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।
একটি অটোরিকশা এবং একটি মোটরবাইকের মধ্যে সংঘর্ষে বাইক চালক আহত হন। তবে, সৌভাগ্যবশত, তিনি গুরুতর কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা পান। মুখ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ তাঁর গাড়ির বহর থামিয়ে আহত ব্যক্তির সাহায্যে এগিয়ে যান, পুজো উদ্বোধনের তাড়া থাকা সত্ত্বেও। এই ঘটনা ত্রিপুরার রাজনীতিতে একটি বিরল মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ঘটনাটি ঘটে আগরতলা-কমলঘাট সড়কে, যখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নির্ধারিত কর্মসূচির জন্য যাচ্ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি সন্ধ্যা ৬টার কাছাকাছি ঘটে, যখন একটি অটোরিকশা দ্রুতগতিতে মোটরবাইকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। মোটরবাইক চালক, যিনি একজন স্থানীয় যুবক, রাস্তায় পড়ে যান এবং তাঁর হাত ও পায়ে সামান্য আঘাত লাগে।
দুর্ঘটনার পর ভিড় জমে যায়, এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এই সময় মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা তাঁর গাড়ি থেকে নেমে আহত ব্যক্তির কাছে পৌঁছান। তিনি নিজে একজন চিকিৎসক হওয়ায় আহত যুবকের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ এবং তাঁর নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এশিয়ার ফাইনালে ভারতের সামনে আত্মঘাতী পাঁচ ফাঁদ! সতর্ক না হলে বিপদ
মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক পদক্ষেপ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্বোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তিনি সময় নিয়ে আহত ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটা দেখায় তিনি সত্যিই জনগণের কথা ভাবেন।” আহত যুবকের পরিবারও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। যুবকের বাবা বলেন, “ডা. সাহা আমাদের ছেলের জন্য সময় বের করেছেন। তিনি শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, একজন মানুষ।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যুবকের অবস্থা স্থিতিশীল, এবং তিনি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন।