শিলচর, অসম, ১৫ সেপ্টেম্বর: অসমের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (Illegal Bangladeshi) শিলচর ক্যাম্পাসে চলছে চরম অরাজকতা। তার সঙ্গে দুই বাংলাদেশী মুসলিম গ্যাং এর সংঘর্ষের ঘটনা অন্যান্য ছাত্রদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অভিযোগ কলেজের মধ্যেই বাংলাদেশি মুসলিম ছাত্ররা তৈরী করছে নিজেদের গ্যাং। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে নারকোটিক্স এবং অ্যালকোহল সেবন। তাদের কাছে রয়েছে ধারালো অস্ত্রেও ।
এই পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় ছাত্ররা ক্যাম্পাসে রীতিমত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। মাত্র দুই দিন আগে, ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুই বাংলাদেশি গ্যাং-এর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই গ্যাংএর ছেলেরাই ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে তারা একে অপরকে আঘাত করে।
অবাক করার বিষয় হল, এনআইটি সিলচরের ডিরেক্টর কোনো এফআইআর দায়ের করেননি। এই ঘটনা অন্য ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। শুরু হয়েছে বাংলাদেশী ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন।
এনআইটি শিলচরের ডিরেক্টর প্রফেসর দিলীপ কুমার বৈদ্য জানিয়েছেন যে, ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডিং ইনস্টিটিউট ডিসিপ্লিনারি কমিটি (এসআইডিসি) তদন্ত করে পাঁচজন বাংলাদেশি ছাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই ছাত্ররা তৃতীয় বর্ষের এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) স্কলারশিপের অধীনে পড়ছিল।
তাদেরকে দুই সেমিস্টারের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তাদের রুম থেকে আধা কিলোগ্রাম মারিজুয়ানা এবং ধারালো অস্ত্র যেমন ছুরি, রড এবং স্ক্রু-ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এই ছাত্ররা নেশা করে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রদের উপর হামলা করেছে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এই মারপিট চলে বলে জানা গিয়েছে। কমপক্ষে দুজন ছাত্রকে মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, যাদের শিলচর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনা শুধু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এনআইটি শিলচরে বাংলাদেশি ছাত্রদের মধ্যে গ্যাং সংস্কৃতির একটি অংশ বলছে অন্য ছাত্ররা। স্থানীয় সূত্র জানায় যে, ক্যাম্পাসে বাংলাদেশি মুসলিম ছাত্ররা গ্যাং গঠন করে নিয়মিত নারকোটিক্স এবং অ্যালকোহলের ব্যবসা করে। ধারালো অস্ত্র নিয়ে তারা হস্টেলে ঘুরে বেড়ায়।
বিনা প্ররোচনায় দেশীয় ছাত্রদের হুমকি দেয় এবং তাদের মারধর করে । এতেও শেষ হয়না জুনিয়র ছাত্রদের উপর চলতে থাকে র্যাগিং এর নামে অকথ্য অত্যাচার। এই পরিস্থিতি ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে এবং দেশীয় ছাত্রদের মানসিক চাপ বাড়িয়েছে।
এবার ‘স্থির’ নীতীশ! মোদীর সঙ্গে আলোচনায় দিলেন স্পষ্ট বার্তা
অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে, যেমন ২০২৩ সালে একজন বাংলাদেশি ছাত্রকে র্যাগিং এবং আক্রমণের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া, কয়েক বছর আগে একজন প্রাক্তন ছাত্রকে ক্যাম্পাসে নারকোটিক্স সরবরাহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তবে ছাত্ররা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।