গুয়াহাটি,৭ ডিসেম্বর: বিশ্বখ্যাত পপস্টার পোস্ট ম্যালোন এবার আসছেন গুয়াহাটিতে (Post Malone Guwahati Concert)। তাঁর উপস্থিতিকে ঘিরে ৮ ডিসেম্বর শহরের খানাপাড়ায় পশু চিকিৎসা বিজ্ঞান মহাবিদ্যালয়ের বিস্তৃত খেলার মাঠ পরিণত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক মানের কনসার্ট–মঞ্চে। বুক মাই শোর উদ্যোগে এবং অসম সরকারের কনসার্ট ট্যুরিজম নীতির অধীনে আয়োজন হওয়া এই শো–কে ঘিরে শহরে উৎসবের আমেজ।
বিশাল জনসমাগমের আশঙ্কায় কড়া ট্রাফিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। শনিবার যৌথ পুলিশ কমিশনার অঙ্কুর জৈন জানান দর্শকলক্ষ্যের কথা মাথায় রেখে ছয়মাইল থেকে খানাপাড়া পর্যন্ত জিএস রোডসহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকায় নো–পার্কিং জোন ঘোষণা করা হয়েছে। জয়ানগর চারিআলি, ত্রিপুরা গলি, এনএইচ–২৭–এর খানাপাড়া–সংলগ্ন অঞ্চল, এবং খানাপাড়া রোটারি থেকে পিংকু কাটিং ও গ্রীনউড রিসর্ট পর্যন্ত অংশও থাকবে একই নিষেধাজ্ঞায়।
কর কমেছে, দাম কেন নয়? WhatsApp-এ অভিযোগ জানান মিনিটে
দর্শকদের সুবিধার্থে শহরের বিভিন্ন দিক থেকে আগত যানবাহনের জন্য আলাদা পার্কিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গণেশগুড়ির দিক থেকে আগতরা গাড়ি রাখতে পারবেন পশু চিকিৎসা ফার্ম গেট, কৃষি বিভাগ প্রাঙ্গণ, জ্যোতি–বিষ্ণু অডিটোরিয়াম এবং ভেটেরিনারি কলেজ এলাকায়। সোনাপুর–জোরাবাটের দিক থেকে আগতদের জন্য থাকছে ইন্ডিয়ান অয়েল পাম্প, মুকুত পার্কিং এবং বশিষ্ঠ মন্দির রোড।
বেলতলা, জয়ানগর ও হাতীগাঁও দিক থেকে আসা দর্শকদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ত্রিপুরা গলি, বালুঘাট, পাতরকুঁচি, নেরিম প্রাঙ্গণ, জুডিও শোরুম ও বিএমডব্লিউ সার্ভিস সেন্টারের আশপাশ। দুই চাকার যানবাহনের জন্যও চিহ্নিত করা হয়েছে বেলতলা বিহুতলি, জয়ানগর, স্মার্ট বাজার এলাকা ও ভেটেরিনারি কলেজ চৌহদ।
এদিন সকাল থেকেই বাণিজ্যিক, মালবাহী ও ধীরগতির যান চলাচলে বিশেষ নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকবে ছয়মাইল উড়ালসেতু থেকে খানাপাড়া রোটারি, বেলতলা তিনিআলি থেকে জয়ানগর চারিআলি এবং জয়ানগর চারিআলি থেকে এপিএসসি পয়েন্ট পর্যন্ত। তবে জরুরি পরিষেবা বাহন থাকবে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে।
দর্শকদের জন্যও কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খেলার মাঠে জলের বোতল, ব্যাগ বা বড় কোনও ব্যক্তিগত সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। ভেতরে বিনামূল্যে জল সরবরাহ ও ডাস্টবিন থাকবে। প্রবেশের জন্য একাধিক গেট খোলা হবে। আয়োজকদের ধারণা সেদিন মাঠে থাকতে পারেন প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার দর্শক।
পোস্ট ম্যালোনের অনন্য সুর–নৈপুণ্য ও তাঁর বিশ্বখ্যাত মঞ্চ–উপস্থাপনা গুয়াহাটিতে সৃষ্টি করতে চলেছে এক বিরল সঙ্গীত–অভিজ্ঞতা। শহরের হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে পরিবহন ব্যবস্থা সবখানেই কনসার্টকে ঘিরে বেড়েছে উৎসাহ ও ব্যস্ততা। গুয়াহাটি এখন অপেক্ষায় এক আলোক–ঝলমলে, সুর–বিস্ফোরিত রাতে, যা হয়তো হয়ে উঠবে শহরের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় আয়োজনগুলোর এক।
