গুয়াহাটি, ১৯ সেপ্টেম্বর: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma) তার রাজ্যে সন্দেহ জনক ভোটার চিহ্নিত করতে ব্যস্ত। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন অসমে সন্দেহজনক ভোটারের সংখ্যা ২,০০,০০০ থেকে কমে ২৫,০০০-এ নেমে এসেছে। আগামী বছরের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলেও তিনি দাবি করেছেন। হিমন্ত বলেন ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে যারা শরণার্থী হিসেবে অসমে এসেছিলেন তাদের কাছে সেই সার্টিফিকেট আছে। এবং তারা সেই সার্টিফিকেট নিয়ে আদালতে মামলা করে সফল হয়েছেন। বলাই বাহুল্য এই সাফল্যের পিছনে মুখ্যমন্ত্রী শর্মারও যথেষ্ট অবদান আছে।
আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে শরণার্থীরা যারা ১৯৭১ সালের আগে এসেছেন, তারা শতভাগ ভারতীয়।” আজ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে তিনি অনিশ্চয়তায় ভোগা বিপুল সংখ্যক অসম অধিবাসীকে নিশ্চিন্ত করেছেন। যারা এতদিন নাগরিকত্বের অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী শর্মার মতে, বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাঙালি হিন্দুরা তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম হচ্ছেন।
১৯৭১ সালের আগে ভারতে আসা শরণার্থীদের জন্য শরণার্থী শিবিরের শংসাপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে কাজ করছে। এই শংসাপত্রের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে পারছেন যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই নথি আদালতে গ্রহণযোগ্য হওয়ায় ডি-ভোটার হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
এই ইতিবাচক পরিবর্তন অসমের বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় স্বস্তি এনেছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা সামাজিক এবং আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। ডি-ভোটার তকমার কারণে অনেকেই ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, এমনকি তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতি তাদের জীবনে অনিশ্চয়তা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছিল।
তবে, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়া এবং আদালতের সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষে যাচ্ছে, যা তাদের জীবনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনছে। তবে কেউ যদি শরণার্থী সার্টিফিকেট দেখতে না পারেন তবে তাদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী শর্মা।
লঙ্কা কাণ্ড! আফগানিস্তান নয় সুপার ফোরে টাইগাররা
স্বভাবতই অসম মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি বাঙালি হিন্দুরা। তারা বলেছেন এতদিন ধরে চলা অনিয়শ্চয়তা এবং মানসিক যন্ত্রনার দিন শেষ হল। তবে অসম হোক বা বাংলা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য পরিবর্তন হচ্ছে ভারতের জনবিন্যাস। অসমে এই সমস্যা সমাধানের জন্য চলছে উচ্ছেদ অভিযানও। এখন দেখার বিষয় শরণার্থীদের বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রভাব রাজ্যের রাজনৈতিক মহলকে কিভাবে প্রভাবিত করে।