অসমের সাংস্কৃতিক আইকন গায়ক জুবিন গার্গের সিঙ্গাপুরে রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড় (Jubins Death)। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার, ৪ অক্টোবর জানিয়েছেন, অসম পুলিশ সরাসরি সিঙ্গাপুর যেতে পারবে না। তদন্তে ‘ডট জয়েন’ করতে ঘটনাস্থলের সঙ্গী অভিযুক্ত অসমীয় যুবকদের অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠান।
সিঙ্গাপুরে অসমীয় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের নোটিস দিয়েছিলেও তারা এখনও হাজির হননি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “অসমের জনগণকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে অভিভাবকদের উপর, যাতে তারা তাদের সন্তানদের পাঠান। না হলে জুবিনের মৃত্যুর সত্য কখনো উদ্ঘাটিত হবে না।” জুবিন গার্গ ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের লাজারাস দ্বীপের কাছে একটি ইয়ট পার্টিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে মারা যান।
প্রথমে স্কুবা ডাইভিং দুর্ঘটনা বলে জানালেও, পরে সাঁতারের সময় ডুবে যাওয়া বলে স্পষ্ট হয়। তাঁর দেহ অসমে ফিরিয়ে দ্বিতীয় ময়না তদন্ত করা হয়, যা সন্দেহের সৃষ্টি করে। রাজ্যজুড়ে ৫৫-এরও বেশি এফআইআর দায়ের হয়েছে, এবং অসম পুলিশের সিআইডি-র স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) গঠিত হয়েছে। এখন মার্ডার চার্জ যোগ হয়েছে, যা তদন্তকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ট্রিটি (এমএলএটি) জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহ চলছে, কিন্তু আমাদের পুলিশ সরাসরি যেতে পারবে না। সিঙ্গাপুরে অসম অ্যাসোসিয়েশনের ১১ জন সদস্য ইয়ট পার্টিতে ছিলেন, যাদের নোটিস দেওয়া হয়েছে।
তারা এখনও জিজ্ঞাসাবাদে আসেননি। অসমের মানুষকে তাদের অভিভাবকদের উপর চাপ দিতে হবে। না হলে তদন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করব, যাতে সবাই তথ্য ও ভিডিও জমা দিতে পারেন।” এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজন গ্রেফতার হয়েছে। জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং ফেস্টিভাল অর্গানাইজার শ্যামকানু মহন্তকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে গুয়াহাটিতে নেওয়া হয়েছে।
ভবীন্দ্রকে নয়া মরসুমের জন্য ধরে রাখল রাজস্থান ইউনাইটেড
তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ধারা ১০৩ (মার্ডার), ক্রিমিনাল কনস্পিরেসি এবং নেগলিজেন্সের অভিযোগ আনা হয়েছে। কামরূপ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১৪ দিনের পুলিশ কাস্টডিতে নেমেছে। পরে জুবিনের ব্যান্ডমেট শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং কো-সিঙ্গার অমৃতপ্রভা মহন্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গোস্বামী বলেন, “আমরা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। ইয়টে কী ঘটেছিল, তা আমরা জানাই।” শ্যামকানুর বাড়িতে রেইডে বেনামি সম্পত্তির কাগজ এবং একাধিক প্যান কার্ড বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যা অর্থনৈতিক অপরাধের দিকে ইঙ্গিত করে।