অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি) সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে এবং (Gogoi)লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর আসন্ন সফরের আগে অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (এপিসিসি) সভাপতি গৌরব গগৈ রবিবার (১৩ জুলাই, ২০২৫) কামরূপ জেলার বকো-ছায়গাঁও বিধানসভা কেন্দ্রের বান গাঁওয়ের শান্তি নেজোরা ক্লাবে একটি জনসভার স্থান পরিদর্শন করেছেন।
এই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা, বিধায়ক রেকিবুদ্দিন আহমেদ, নন্দিতা দাস, দুধনইয়ের বিধায়ক যদব স্বর্গিয়ারি এবং দলের অন্যান্য সদস্যরা। আগামী ১৬ জুলাই এই জনসভার জন্য প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে বলে জানা গেছে।
এই অনুষ্ঠানে (Gogoi) আসামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা, মণ্ডল, ব্লক এবং জেলা ইউনিটের প্রধানরা, সেইসঙ্গে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা
পরিদর্শনের সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গৌরব গগৈ (Gogoi)বিজেপি-নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান। তিনি সরকারের উচ্ছেদ অভিযানকে ‘মানবিকতাবিহীন’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেন, এই অভিযানগুলি সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ হয়েছে এবং কর্পোরেট স্বার্থ ও রাজনৈতিক মিত্রদের সুবিধার্থে পরিচালিত হচ্ছে।
গগৈ বলেন, “আজ অসমের জমি ‘মামা-মামি’র কবলে। বিজেপি সরকার সাধারণ নাগরিকদের দুর্দশার দিকে নজর না দিয়ে কর্পোরেট ও তাদের রাজনৈতিক বন্ধুদের পক্ষে কাজ করছে।” তিনি আরও দাবি করেন, আসামের জনগণ বর্তমান সরকারের উপর ভরসা হারিয়েছে এবং বিজেপি শাসনের অধীনে ব্যাপক অন্যায় ও প্রশাসনিক অনিয়মের কারণে একটি রাজনৈতিক বিকল্প খুঁজছে।
খড়গে ও রাহুলের সফরের তাৎপর্য (Gogoi)
মল্লিকার্জুন খড়গে (Gogoi)এবং রাহুল গান্ধীর এই সফর অসমে কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই জনসভার মাধ্যমে দলটি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়েছে। গৌরব গগৈ জানিয়েছেন, খড়গে এবং রাহুল গান্ধীকে আসামের জনগণের মুখোমুখি হওয়া প্রধান সমস্যাগুলির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অবহিত করা হবে।
এই সভা কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশলকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আসামে দলের প্রভাব বাড়ানোর একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই সফর কংগ্রেসের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ভাষা রাজনীতির প্রসঙ্গ
গৌরব গগৈ (Gogoi)এই সফরের সময় অসমে বাংলা ভাষার প্রচলন ও প্রচারের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। যদিও তাঁর মন্তব্যের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে এই বিষয়টি অসমের ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। আসামে বাংলা ভাষী জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে, এবং কংগ্রেস এই বিষয়টিকে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ হিসেবে তুলে ধরতে পারে।
সংগঠনের শতবর্ষে সংঘের নজরে বাংলা
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
অসমের বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের এই তীব্র অবস্থান রাজ্যের রাজনৈতিক গতিবিদ্যাকে আরও উত্তপ্ত করেছে। বিজেপি সরকারের উচ্ছেদ অভিযান এবং জমি সংক্রান্ত নীতিগুলি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, যা কংগ্রেস তাদের পক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। গৌরব গগৈয়ের (Gogoi) নেতৃত্বে কংগ্রেস অসমে তাদের তৃণমূল স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছে। খড়গে এবং রাহুল গান্ধীর সফর এই প্রচেষ্টাকে আরও গতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মল্লিকার্জুন খড়গে এবং রাহুল গান্ধীর অসমে সফর কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সুযোগ। গৌরব গগৈয়ের (Gogoi)নেতৃত্বে দলটি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
উচ্ছেদ অভিযান, প্রশাসনিক অনিয়ম এবং ভাষাগত বিষয়গুলির মতো স্থানীয় সমস্যাগুলি এই জনসভায় গুরুত্ব পাবে। এই সফর আসামে কংগ্রেসের রাজনৈতিক পুনর্জাগরণের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।