ফের গনধর্ষনের মত নক্কারজনক ঘটনা ঘটল খোদ বিজেপি শাসিত রাজ্যে (Assam)। এবার গণধর্ষের মতো ঘটনা চাক্ষুষ করল অসমের গোলপাড়া কলেজ। কলেজের ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই নির্যাতিতা হতে হল কলেজেরই এক হিন্দু ছাত্রীকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরোজ নামে এক ছাত্রকে। জানা গিয়েছে ফিরোজ কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (NSUI)-এর নেতা।
নিগৃহীতা ছাত্রী এনএসইউআই এর অন্যান্য নেতাদের বিষয়টি জানালে তারাও ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকি দেন। এরপর ওই ছাত্রী এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের কাছে অভিযোগ করলে তারা প্রতিবাদ শুরু করে। তাদের অভিযোগ এবং প্রতিবাদের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় ফিরোজকে। এই ঘটনা শুধু অসমে নয় সাড়া ফেলেছে অন্যান্য রাজ্যেও। অসমের মতো জায়গায় খোদ কলেজে এই ধরণের ঘটনাটা সকলেই হতবাক।
সমোলোচকরা মন্তব্য করছেন যে মানুষ বাংলা বা উত্তরপ্রদেশের বদনাম করে। বলে এই রাজ্যগুলিতে নারী নিরাপত্তা নেই। কিন্তু অসমের মত রাজ্যে এই ধরণের ঘটনা আবারও প্রমান করে শুধু রাজ্য নয় মানুষের বিকৃত মানুষিকতাও এই ধরণের ঘটনার পিছনে সমানভাবে দায়ী। তারা আরও বলেছেন এর জন্য শুধু মানুষিকতা নয় রয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতা এবং এই রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেয়েদের ভয় দেখিয়ে নির্যাতন করছে ফিরোজের মতো ছেলেরা।
কয়েক মাস আগেই কলকাতায় এই ধরণের একটি ঘটনা বিশেষ হবে চাঞ্চল্য তৈরী করে। কসবা আইন কলেজে মনোজিৎ মিশ্র নাম এক তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেতা তার দুই বন্ধুর সঙ্গে কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনাতেও কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার মানুষ সরব হয়েছিলেন মনোজিতের শাস্তির দাবিতে।
ভগবান রামকে অস্বীকার! মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা অনুরাগ ঠাকুরের
কেউ কেউ অসমের এই ঘটনার সঙ্গে কলকাতার ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেছেন ভুল লোকেদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকলে তা বার বার অপব্যবহৃত হবে। আবার সমালোচককুলের একাংশ অভিযোগ করেছেন অসমের সরকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের রাজ্য ছাড়া করতে উচ্ছেদ অভিযানে মন দিয়েছে। এই ঘটনা সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। তবে ঘটনার পিছনে যে কারণই থাকুক নির্যাতিতার পরিবার এবং সমগ্র গোলপাড়ার মানুষ ফিরোজ এবং এই ঘটনায় মদত দাতাদের চরম শাস্তিবিধান চাইছেন।