‘শান্তি না ফেরা অবধি পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়’, হুঙ্কার অমিত শাহের

বিধানসভা ভোটের প্রচারে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না রাজনৈতিক দলগুলি। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা সরানোর পর প্রথমবারের মতো বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এদিকে…

বিধানসভা ভোটের প্রচারে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না রাজনৈতিক দলগুলি। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা সরানোর পর প্রথমবারের মতো বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এদিকে জম্মু-কাশ্মীর সফরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আজ শনিবার জম্মুর পালাউরায় জনসভায় ভাষণ দিলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “আমি এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে বিজেপি পুরো শক্তি নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করবে এবং নির্বাচনে জিতবে। সেই দিনগুলি চলে গেছে যখন অন্য কেউ ঠিক করে দিয়েছিল কার সরকার গঠন করা হবে, এখন জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণই ঠিক করবে কার সরকার গঠন করা হবে।”

এদিন সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতেও শাহকে সুর চরাতে শোনা শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের কারণে কাশ্মীর অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাশ্মীরে এমন সরকার ছিল যারা সন্ত্রাসবাদের প্রতি চোখ বন্ধ করে রেখেছিল। এমন লোক আছেন যাঁরা এখানে এসে মুখ্যমন্ত্রী হতেন, যখন শান্তি থাকত, যখন সন্ত্রাসবাদ হত, তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে কফি বারে বসে কফি পান করতেন। গত ১০ বছরে ৭০ শতাংশ সন্ত্রাসবাদ কমানোর কাজ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বহু বছর পর নির্ভয়ে অমরনাথ যাত্রা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বহু বছর পর উপত্যকায় নাইট থিয়েটার শুরু হয়, উপত্যকায় তাজিয়া শোভাযাত্রা বের হয়। জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে, বিশেষ করে জম্মুর জনগণকে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁরা সন্ত্রাসবাদ চান নাকি শান্তি চান, উন্নয়ন চান। এনসি এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাসবাদ আসবে, বিজেপি এলে এখানে কেউ অনুপ্রবেশ করতে পারবে না।’

   

পাকিস্তান ইস্যুতে অমিত শাহ কড়া আক্রমণ করেন। বলেন,’আমি রাহুল গান্ধীকে একটা কথা বলতে চাই যে আপনারা যতই চেষ্টা করুন না কেন, আমরা গুজ্জর, বাকারওয়াল, পাহাড়ি এবং দলিতদের সংরক্ষণকে স্পর্শ করতে দেব না। যতক্ষণ না শান্তি আসছে, ততক্ষণ পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনা হবে না।’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স বলছে যে তারা রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করবে। কে দিতে পারে বলুন তো? একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী মোদীই তা দিতে পারেন। তাই জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে বোকা বানানো বন্ধ করুন। আমরা বলেছি যে নির্বাচনের পরে উপযুক্ত সময়ে আমরা জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেব। আমরা সংসদে এ কথা বলেছি। রাহুল গান্ধীর উচিত জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করা। “