‘স্পেশাল ট্রেন’ নেই, অভিজ্ঞতা স্পেশাল! দাঁড়িয়ে ঘরে ফেরা, বাথরুমে ‘রিজার্ভ সিট’

নয়াদিল্লি: বছরভর কাজ, ক্লান্তি, অবসাদের পর আসে উৎসবের মরশুম। আর তাতেই আপামোর ভারতবাসী আশা করে “এবার সব ঠিক হয়ে যাবে”! পেটের তাগিদে ‘ঘর-ছাড়া’ মানুষগুলো চায় উৎসবের দু-টো দিন বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করে কাটাতে। কিন্তু ঘরে ‘ফেরা’-টাই যে বিভীষিকা!

Advertisements

প্রতি বছর দীপাবলি ছট পুজোর সময় ট্রেনগুলিতে (Train) থাকে ঠাসাঠাসি ভিড়। সরকার প্রতি বছর উৎসবের মরশুমে স্পেশাল ট্রেন চালানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। ট্রেনে সিট পাওয়া তো দূরস্থ, বাথরুমে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ঘরে ফেরেন পরিযায়ীরা।

এবছর দীপাবলিতেও (Diwali) সেই ছবিটা বদলায়নি। যাত্রীদের কেউ আসছেন দিল্লি, মুম্বই, কেউ আবার আহমেদাবাদ, সুরাট থেকে। ট্রেনের কামরার ৫ জনের সিটে গাদাগাদি করে বসে আছেন তার তিন-চারগুন মানুষ। প্যাসেজ হোক বা বাঙ্ক যে যেখানে কিছুটা জায়গা পেয়েছেন বসে পড়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বাথরুমের ভেতরেও দাঁড়িয়ে রয়েছেন মানুষ।

কানপুর সেন্ট্রাল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা দ্বারভাঙ্গা-গামী একটি ট্রেনের ভিডিও সামনে উঠে এসেছে। ট্রেনের দরজায় কোনমতে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রী ব্রজেশ তিওয়ারি বলেন, “আহমেদাবাদ থেকে ঝাঁসি হয়ে আসছি। ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রা করছি। বাড়ি দ্বারভাঙ্গা। ছট-দীপাবলির ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি। কোনও স্পেশাল ট্রেন নেই। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ট্রেনে দাঁড়ানোর পর্যন্ত জায়গা নেই। মানুষ বাথরুমে দাঁড়িয়ে আছেন।”

সতীশ কুমার প্রজাপতি নামক এক যাত্রী কোনমতে সিটে বসার জায়গা পেয়েছেন। ভোপাল থেকে গোরক্ষপুর যাচ্ছেন তিনি। স্পেশাল কোনও ট্রেন নেই। উৎসবের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি”।

Advertisements

কংগ্রেসের তোপ

যাত্রীদের এই বিভীষিকাময় ট্রেন যাত্রার একটি ভিডিও পোস্ট করে রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। এক্সের পোস্টে কংগ্রেস লেখে, “১২ হাজার স্পেশাল ট্রেন আপনারা পৃথিবীর কোন প্রান্তে চালাচ্ছেন? মানুষ বাড়ি ফিরতে নাজেহাল, অথচ নিজের দুনিয়ায় মেতে আছে সরকার।”

https://x.com/INCIndia/status/1980141983332270574

সেইসঙ্গে জাতীয় কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, “দীপাবলি-ছটের সময় মানুষ বাড়ি ফিরবে জানা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়নি? এখন মানুষ সমস্যা বলছেন, তো আপনারা FIR-এর ভয় দেখাচ্ছেন! লজ্জা হওয়া উচিৎ!”