খালি হাতেই ফিরবে কংগ্রেস? দিল্লির ভোটে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের গণনা শুরু হতেই কংগ্রেসের জন্য এক নতুন বিপর্যয়ের ইঙ্গিত মিলছে। গণনার ট্রেন্ড অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বিজেপি ৪৩টি আসনে এগিয়ে, আপ ২৭টি আসনে…

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের গণনা শুরু হতেই কংগ্রেসের জন্য এক নতুন বিপর্যয়ের ইঙ্গিত মিলছে। গণনার ট্রেন্ড অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বিজেপি ৪৩টি আসনে এগিয়ে, আপ ২৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে৷ কংগ্রেসের কোনও আসনে লিড নিতে পারেনি। দিল্লি বিধানসভায় মোট ৭০টি আসন রয়েছে।

এক্সিট পোলও কংগ্রেসের জন্য হতাশাজনক ফলাফলের পূর্বাভাস দিয়েছে। ছয়টি এক্সিট পোলের মধ্যে দুটি পোল কংগ্রেসের জন্য শূন্য আসন বলছে। যদি এই পূর্বাভাস সঠিক হয়, তাহলে এবারেও খালি হাতেই ফিরতে হবে কংগ্রেসকে৷ যা জাতীয় স্তরে দলের জন্য বড় ধাক্কা হতে চলেছে৷ 

   

২০১৫ সাল থেকে কংগ্রেসের পতন

কংগ্রেসের দিল্লিতে পতন শুরু হয় ২০১৫ সালে, ওই বছর একটি আসনেও জিততে পারেনি তারা৷ ২০২০ সালে আবার একই ফলাফল দেখা যায়। শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বে দিল্লিতে কংগ্রেস একসময় শক্তিশালী ছিল, কিন্তু এখন আপ এবং বিজেপির আধিপত্যের কারণে কংগ্রেস পুনরায় তার প্রভাব ফিরে পেতে ব্যর্থ হয়েছে।

কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কী হবে?

এই পরাজয় কংগ্রেসের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা হবে এবং দলের পুনরুজ্জীবনের পথ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কংগ্রেস যদি আবার দিল্লিতে ফিরে আসতে চায়, তবে তা দলের নেতৃত্ব এবং জাতীয় কৌশলের ওপর নির্ভর করবে। তবে বর্তমানে দিল্লি রাজনীতিতে কংগ্রেসের অবস্থান অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।

এদিকে ২৭ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতা দখলের পথে বিজেপি৷ গেরুয়া শিবির ক্ষমতা দখল করলে কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? বিজেপি এগোতেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷  দিল্লি বিজেপির প্রেসিডেন্ট বীরেন্দ্র সচদেবা বলেন, ‘‘দিল্লির মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বকে দেখেই বিধানসভায় ভোট দিয়েছেন। ওঁদের যন্ত্রণা আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি। বিজেপি থেকেই কেউ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তবে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা সম্পূর্ণ ফলাফল দেখার পরই সিদ্ধান্ত নেবে দল৷’’