ভারতের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) সঞ্জীব খান্না (Khanna) মঙ্গলবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন যে, আদালতের সামনে মামলার জরুরী শুনানির (urgent hearings) জন্য কোনো আইনজীবী মৌখিকভাবে উল্লেখ (oral mention) করতে পারবেন না (not allowed)। বরং, আইনজীবীদের ইমেল বা লিখিত চিঠির মাধ্যমে তাদের জরুরী মামলার বিষয় তুলে ধরতে হবে। এর মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রমে শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
বিচারপতি খান্নার নতুন নির্দেশিকা: লিখিত চিঠি বা ইমেলই গ্রহণযোগ্য
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের কার্যধারা পরিবর্তন সম্পর্কে জানিয়ে বলেছেন, “কোনো লিখিত বা মৌখিক উল্লেখ হবে না। শুধুমাত্র ইমেল বা লিখিত স্লিপ/অক্ষরে আবেদন জমা দিতে হবে।” এর ফলে, আদালতের কার্যক্রমে আরও প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং আইনজীবীরা তাদের মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করার জন্য যে উপায়টি ব্যবহার করতে পারবেন তা স্পষ্ট হবে।
এটি এক ধরনের নিয়মের পরিবর্তন, যা ইতোমধ্যে আদালতের কার্যধারায় একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। সাধারণত, আইনজীবীরা তাদের মামলাগুলি দিনের শুরুতে সিজেআই-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে মৌখিকভাবে উল্লেখ করেন এবং জরুরী ভিত্তিতে শুনানির জন্য তাদের মামলা তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করেন। তবে নতুন নির্দেশিকার ফলে এই প্রক্রিয়া আরও আরও পদ্ধতিগত হতে চলেছে।
আইনজীবীদের জন্য নতুন নির্দেশনা: কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা
সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশনা আইনজীবীদের জন্য একধরনের নির্দেশনা, যাতে তারা জরুরী মামলাগুলির জন্য মৌখিকভাবে আবেদন করার পরিবর্তে ইমেল বা লিখিত স্লিপের মাধ্যমে বিষয়টি আদালতে তুলে ধরতে পারেন। এর ফলে আদালতকক্ষে অযথা সময় নষ্ট হওয়া থেকে বিরত থাকা যাবে এবং আদালত আরও কার্যকরভাবে তার মামলার শুনানি করতে পারবে।
আইনজীবীরা আগামী দিনে ইমেল বা লিখিত চিঠির মাধ্যমে তাঁদের মামলার জরুরীতার কারণ আদালতের কাছে তুলে ধরবেন। প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশিকা বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, জরুরী শুনানির প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন আসবে কি?
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, আদালতে জরুরী শুনানির জন্য কোনো মৌখিক আবেদন গ্রহণ করা হবে না, কিন্তু এটির প্রভাব কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আদালতের সময়কে আরও সুনির্দিষ্ট এবং কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে, তবে কখনো কখনো জরুরী শুনানির ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে, যেটি ইমেল বা লিখিত আবেদনের মাধ্যমে সম্ভব নাও হতে পারে।
প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রমে একটি নতুন দিশা প্রদান করবে, যেখানে আইনজীবীরা আরও সুসংগঠিতভাবে আদালতে তাদের মামলাগুলি উপস্থাপন করবেন।