নয়াদিল্লি: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর (জেডিইউ) নেতা ও কর্মীদের অসন্তোষের জের৷ নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকারি বাসভবন৷ মঙ্গলবার পাটনার সিএম হাউসের বাইরে দলের বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মী অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন৷ টিকিট না পাওয়ার প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তাঁরা৷
পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী দড়ি দিয়ে এলাকায় কড়া বিধিনিষেধ জারি করে, যাতে বিক্ষোভকারীরা সরাসরি বাসভবনের কাছে পৌঁছাতে না পারেন। তবুও জেডিইউ নেতা-কর্মীরা জমায়েত করে অবস্থান নেন। গোপালপুর থেকে টানা চারবারের বিধায়ক গোপাল মণ্ডল সিএম হাউসের বাইরে ধরনায় বসেন। কুর্থ, নবীনগর এবং দ্বারভাঙা এলাকার কর্মীরাও বিক্ষোভে যোগ দিয়ে ভিড় বাড়িয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি:
গোপাল মণ্ডল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে এসেছি। টিকিট বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এখানেই বসে থাকব। নিরাপত্তা কর্মীরা লাঠিচার্জ করতে চাইলে করতে পারেন। আমি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করব এবং বিশ্বাস করি আমার টিকিট বাতিল হবে না।”
এদিকে, ভাগলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অজয় মণ্ডলও প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি জমা দিয়েছেন। তিনি তার সংসদীয় আসন থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
বিহার নির্বাচন ও এনডিএ-র আসন বণ্টন: Nitish Kumar Residence Protest
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভা নির্বাচন আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা হবে ১৪ নভেম্বর। বিজেপি ও জেডিইউ-এর মধ্যে আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, বিজেপি ১০১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, জেডিইউও সমান সংখ্যক ১০১টি আসনে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি ২৯টি আসন পেয়েছে। এছাড়া, রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা ও জিতন রাম মাঞ্ঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (হাম) ৬টি করে আসন পেয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, টিকিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে জেডিইউ-এর অভ্যন্তরে প্রকাশ্য অসন্তোষ নির্বাচনী রণকৌশলকে প্রভাবিত করতে পারে এবং বিহারের রাজনৈতিক মানচিত্রে অপ্রত্যাশিত প্রভাব ফেলতে পারে।