দেশজুড়ে অচল ও দূষণকারী যানবাহন সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari) । সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, গোটা দেশে মোট ৯৭ লক্ষ অচল গাড়ি যদি স্ক্র্যাপ বা বাতিল করা হয়, তবে কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা জিএসটি আয় হতে পারে।
শুধু রাজস্ব নয়, এই নীতির ফলে তৈরি হতে পারে নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও। গড়করির বক্তব্য অনুযায়ী, প্রায় ৭০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। অন্যদিকে পরিবেশও দূষণমুক্ত হবে, কারণ এই অচল যানবাহনের বেশিরভাগই দূষণের বড় উৎস। তিনি বলেন, “আমাদের হিসাব অনুযায়ী দেশে ৯৭ লক্ষ অচল ও দূষণকারী গাড়ি রয়েছে। সব গাড়ি স্ক্র্যাপ করতে পারলে একদিকে যেমন রাজস্ব বাড়বে, অন্যদিকে পরিবেশও রক্ষা পাবে।”
মন্ত্রী (Nitin Gadkari) আরও জানান, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত মোট ৩ লক্ষ অচল গাড়ি স্ক্র্যাপ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ১.৪১ লক্ষ সরকারি যানবাহন। অর্থাৎ সরকার নিজেই উদাহরণ তৈরি করছে। বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ১৬,৮৩০টি গাড়ি বাতিল হচ্ছে বলে তথ্য দেন তিনি। নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari) আরও জানান, এই স্ক্র্যাপ নীতিকে সফল করতে বেসরকারি খাতেও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২,৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ফলে এই নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
সরকার ইতিমধ্যেই চালু করেছে ভলান্টারি ভেহিকল ফ্লিট মডার্নাইজেশন প্রোগ্রাম (V-VMP) বা সাধারণভাবে পরিচিত ভেহিকল স্ক্র্যাপিং নীতি। এই নীতির লক্ষ্য— অচল ও দূষণকারী গাড়িগুলিকে ধাপে ধাপে বাতিল করা এবং তার পরিবর্তে নতুন পরিবেশবান্ধব গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করা। এই স্ক্র্যাপিং নীতির মাধ্যমে গাড়ির ধাতব অংশ, ইঞ্জিন বা অন্যান্য উপকরণ পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এর ফলে শিল্পক্ষেত্রে কাঁচামালের জোগানও সহজ হবে। সেই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতাও কমবে।
এই নীতি কার্যকর হলে শুধু রাজস্ব ও কর্মসংস্থান নয়, গাড়ি শিল্পেরও নতুন গতি আসবে। কারণ পুরনো গাড়ি বাদ দিয়ে নতুন গাড়ির চাহিদা বাড়বে। সেই সঙ্গে দেশীয় শিল্পে আরও বিনিয়োগ আসবে।