হাত শক্ত হচ্ছে গডকড়ীর, আরএসএসের মদতে মোদী-শাহের সমান্তরাল শাসন?

বিজেপির অন্দরে হাত শক্ত হচ্ছে গডকড়ীর (Nitin Gadkadi), আরএসএসের (RSS) মদতে কী এবার গড়ে উঠছে মোদী-শাহের (Narednra Modi)দলের অন্দরেই কী গড়ে উঠছে সমান্তরাল শাসন?  নাগপুরের…

Modi Rss and Nitin Gadkadi

বিজেপির অন্দরে হাত শক্ত হচ্ছে গডকড়ীর (Nitin Gadkadi), আরএসএসের (RSS) মদতে কী এবার গড়ে উঠছে মোদী-শাহের (Narednra Modi)দলের অন্দরেই কী গড়ে উঠছে সমান্তরাল শাসন?  নাগপুরের অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এমনই গুঞ্জন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সম্প্রতি দূ্র্নীতি থেকে জাতপাতের রাজনীতি একাধিক বিষয়ে মুখ খুলেছেন নীতিন গডকড়ী। গডকড়ীর বলেন, ‘‘বিজেপি একটা আলাদা ধরনের দল। যদি আমরা কংগ্রেস যা করেছিল সেটাই করে যাই, তা হলে ওদের বিদায় করে আমাদের আনার অর্থ কী?।”

গুগলের বিজ্ঞাপনে ১১৬ কোটি খরচ বিজেপির, কয়েক যোজন পিছিয়ে কংগ্রেস

   

সম্প্রতি গোয়ার এক দলীয় বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Narednra Modi)। আর তাতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে এনডিএ। ইউপিএ আমলে কংগ্রেসের একাধিক দূর্নীতির কারণেই ২০১৪ সালে পতন হয়ে মনমোহন সরকারের। এবার সেই কথাই হয়তো মোদীকেস্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি। অর্থ্যত্ গডকড়ীর এই সমস্ত মন্তব্য যে আসলে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে খোঁচা দিতেই তা জানতে কারও বাকি নেই।

লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারিতে কাঠগড়ায় উঠেছিল মোদীর বিজেপি সরকার। তখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই সমস্ত আর্থিক লেনদেনের হিসেব প্রকাশ্যে এনেছিল স্টেট ব্যাঙ্ক। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে জাতীয় রাজনীতিতে। আর ভোটের আগে এই দুর্নীতি মুখ পুড়িয়েছিল মোদী-শাহদের। এবার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট ও নেট দূর্নীতি নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে মোদীর এনডিএ জোট। দেশ জুড়ে চলছে এই মামলার সিবিআই তদন্ত। আর তাতে উঠে এসেছে বিজেপির একাধিক রাঘব বোয়ালের নাম। বিরোধীরা সংসদে এই নিয়ে তুমুল হট্টগোল করলেও দলের মধ্যে কারও এই নিয়ে মন্তব্য করার কোনও সাহস হয়নি। আর মোদী জমানায় সেটাই স্বাভাবিক বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল।

আকাশে দাপিয়ে বেড়াল বায়ুসেনা, কার্গিল বিজয় দিবসের রজত জয়ন্তী উদযাপন

কিন্তু বর্তমান সরকারের দূর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে আসলে পরোক্ষ ভাবে মোদীকে কাঠগড়ায় তুলতে চেয়েছেন প্রবীণ এই বিজেপি নেতা। আর তার পেছনে আরএসএসের সমর্থন রয়েছে। কারণ আরএসএসের অত্যন্ত স্নেহভাজন নেতা নীতিন গডকড়ী। লোকসভা ভোটের আগে গডকড়ীকে টিকিট না দেওয়া নিয়ে রীতিমতো জলঘোলা শুরু হয়েছিল বিজেপির অন্দরে। সেই নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছিল গুজরাট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও। ফলে শেষপর্যন্ত নাগপুরের এই সাংসদকে টিকিট দিতে বাধ্য হয় অমিত শাহেরা।

মোদী-শাহের জমানায় দেশে জাতপাতের বিভাজন ক্রমশ বাড়ছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গটিও সভায় টেনে গডকড়ী জানিয়ে দেন, যারা জাত নিয়ে রাজনীতির কথা বলবে, তাদের দলে জায়গা হবে না। তিনি যে এর ঘোর বিরোধী, তা-ও বুঝিয়ে দেন।

উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর ‘উধাও’ শুভেন্দু অধিকারী’

এবার লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্টতা পায়নি বিজেপি। তাই এনডিএ জোট সরকার গড়তে পর্দার আড়ালে আরএসএসের ভূমিকাও ছিল বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। নতুন সরকার শপথ নিতেই মোহন ভগবত বলেন, “বিরোধীদের দেশের শত্রু ভাবলে চলবে না।” আর এতেই স্পষ্ট মোদী সরকারের ভেতরে ক্রমশই ভিত শক্ত করছে আরএসএস। আর নীতিন গডকড়ীর মাধ্যমেই সেই নিজেদের অস্তিত্ব পুনরায় জোরদার করতে শুরু করেছে নাগপুর। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।