অযোধ্যা: ভগবান শ্রীরামের পবিত্র ধাম বৃহস্পতিবার সাক্ষী থাকল এক অনন্য আধ্যাত্মিক মুহূর্তের। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে শ্রীরাম দরবারে পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ রামলালার আরতি সেরে কুবের টিলায় ভগবান মহাদেবের রুদ্রাভিষেকে অংশ নেন তিনি।
রম লালার আরতি
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রায় নিজে অর্থমন্ত্রীকে মন্দির পরিসর ঘুরিয়ে দেখান এবং নির্মীয়মাণ মন্দিরের স্থাপত্য, ইতিহাস ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য নিয়ে বিশদে জানান। মন্দিরের অপরূপ মহিমা প্রত্যক্ষ করে নির্মলা সীতারমণ জানান, এই ঐতিহাসিক স্থানে উপস্থিত হতে পেরে তিনি গভীর গর্ব বোধ করছেন৷ তিনি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন৷
আরতির সময় ভরে ওঠে রামলল্লার প্রাঙ্গণ। সরযূর দিক থেকে বয়ে আসা মৃদু বাতাস, পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণ আর শত শত ভক্তের কণ্ঠে উচ্চারিত “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি মিশে এক অলৌকিক আবহ তৈরি করে। প্রদীপ জ্বালিয়ে ভক্তদের সঙ্গে সেই মহা-আরতিতে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী নিজেও, যা মুহূর্তটিকে আরও পবিত্র ও উজ্জ্বল করে তোলে।
উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী এবং কৃষিমন্ত্রী Nirmala Sitharaman Ram Mandir
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ জানানো হয় অর্থমন্ত্রীকে। পরে ট্রাস্ট কর্তাদের সঙ্গে মন্দিরের নিরাপত্তা, দর্শনার্থীদের জন্য ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ দিন উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খন্না এবং কৃষিমন্ত্রী তথা অযোধ্যা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুর্যপ্রতাপ শাহী।
আজকের অযোধ্যা কেবল একটি শহর নয়, এ যেন ভারতের চিরন্তন বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার জীবন্ত প্রতীক। শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে দেশ-বিদেশের অগণিত ভক্তের আগমন ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিটি দর্শনার্থী যেন এখানে এসে অনুভব করছেন রামায়ণ যুগের ঐশ্বর্য ও আধুনিক ভারতের নবজাগরণের এক অনুপম মেলবন্ধন।