নির্মলার বাজেটে উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস!

কংগ্রেসের ইস্তেহারকে ‘টুকে’ বাজেট (Union Budget 2024) বানিয়েছে মোদী সরকার। এক্স হ্যান্ডেলে এভাবেই কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।  তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ভারতের জাতীয়…

কংগ্রেসের ইস্তেহারকে ‘টুকে’ বাজেট (Union Budget 2024) বানিয়েছে মোদী সরকার। এক্স হ্যান্ডেলে এভাবেই কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। 

তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ন্যায় পত্র ২০২৪-কে নকল করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম স্পষ্টতই কংগ্রেসের প্রস্তাবিত শিক্ষানবিশ প্রোগ্রামের উপর ভিত্তি করে, যাকে আমরা পেহলা চাকরি পাক্কি বলেছিলাম।

   

রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এটা অত্যন্ত হতাশাজনক যে তথ্য ও পরিসংখ্যান বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় জনগণনার জন্য তহবিলের উল্লেখ নেই। স্বাধীনতার পর এই প্রথম আদমশুমারি যথাসময়ে করা হয়নি। ফলে ১০-১২ কোটি মানুষকে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতার বাইরে রয়েছেন।

এবার বাজেট পেশ করে রেকর্ড গড়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। টানা সপ্তমবারের জন্য সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। স্বাধীন ভারতে প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন নির্মলা। এর আগে ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে মোরারজি দেশাই টানা ৬টি বাজেট পেশ করেছিলেন।

বেতনভুক কর্মীদের জন্য সুখবর, আয়কর কাঠামোয় বড় ছাড় নির্মলার

এদিন সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে অর্থ মন্ত্রকের দফতরে পৌঁছলেন নির্মলা। বেগনি পাড়ওয়ালা ক্রিম রঙের শাড়ি পরেছেন তিনি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তাই সকলের নজর ছিল এই বাজেটের দিকে।

বাজেট পেশ করার আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন অর্থমন্ত্রী। প্রথামাফিক তাঁকে মঙ্গলসূচক দই-চিনি খাওয়ালেন রাষ্ট্রপতি।

বাজেট প্রসঙ্গে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এই বাজেট অমৃত কালের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজেট। এই বাজেট আমাদের পাঁচ বছরের যাত্রার দিক নির্ধারণ করবে এবং স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবে। ২০৪৭ সালে একটি উন্নত ভারতের ভিত্তি স্থাপন করবে এই বাজেট।

বাংলার কপালে শুধুই করিডর, বিহার-অন্ধ্রপ্রদেশকে দু হাত উপচে উপহার নির্মলার?

তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত সব সাংসদ ও রাজনৈতিক দলগুলির কর্তব্য হল আগামী ৫ বছর দেশের জন্য লড়াই করা। আসুন আমরা আগামী ৪ থেকে সাড়ে ৪ বছর রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করি। ভোটের সময় যা করার করবেন, কিন্তু তার আগে পর্যন্ত ২০৪৭-এর স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই করুন।