৪ কোটি টাকা নগদ ও ১০টি অস্ত্র উদ্ধার, NIA-র রাডারে শাসক নেত্রী

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে এবার কয়েক কোটি টাকা নগদ এবং অস্ত্র উদ্ধার করল এনআইএ (NIA)। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নিষিদ্ধ নকশাল সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)…

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে এবার কয়েক কোটি টাকা নগদ এবং অস্ত্র উদ্ধার করল এনআইএ (NIA)। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নিষিদ্ধ নকশাল সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী) এর বিরুদ্ধে তদন্তের অংশ হিসাবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বিহারে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র এবং নগদ চার কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করেছে।

ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে এনআইএ। আর এনআইএ-র জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, রাজ্যের মগধ অঞ্চলে সিপিআই (মাওবাদী) এর পুনরুজ্জীবন ও শক্তিশালী করার ষড়যন্ত্র বানচাল করার লক্ষ্যে অভিযানের অংশ হিসাবে বিহারের গয়া ও কৈমুর জেলার মোট পাঁচটি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। গয়ার এ পি কলোনিতে প্রাক্তন জেডি (ইউ) এমএলসি মনোরমা দেবীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রীতিমতো যকের ধন উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

গয়া ও ভাবুয়ার পাঁচটি জায়গায় তাঁর মালিকানাধীন পাঁচটি স্থানে এবং তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তল্লাশি চালানো হয়। এনআইএ-র সন্দেহ, মনোরমা দেবী মাওবাদীদের অস্ত্র ও অর্থ জোগান দিচ্ছিলেন। তল্লাশিতে নগদ ৪ কোটি টাকারও বেশি নগদ, অস্ত্র ও অনেক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিহারের গয়া ও ভাবুয়ার ৫টি জায়গায় তল্লাশি চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে এই তল্লাশি চালানো হয়। তদন্তকারী সংস্থা সন্দেহ করছে যে জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) এর প্রাক্তন বিধায়ক মনোরমা দেবীর মাওবাদীদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এবং তিনি তাদের অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করে আসছেন।

গতকাল ভোর চারটে থেকে গয়ায় মনোরমা দেবীর বাড়িতে হাজির ছিল এনআইএ-র দল। প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে চলা এই অভিযানে এনআইএ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেয়েছে। সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হয়েছে যে তা গুনতে মেশিন ডাকতে হয়। পরে এনআইএ জানায়, নগদ ৪.০৩ কোটি টাকা, দশটি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, বেশ কিছু নথি, পেনড্রাইভ, মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ এবং আরও অনেক বৈদ্যুতিন ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisements

এনআইএ-র দাবি, মনোরমা দেবী সিপিআই (মাওবাদী)-র মগধ অঞ্চল পুনর্নির্মাণের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এছাড়া গয়ার বাঁকেবাজারের সিমরান ট্রাভেলসের মালিক দ্বারিকা যাদব ও ভাবুয়ায় রুচিকা প্রিন্টার্সের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। দ্বারকার বিরুদ্ধে নকশালদের আর্থিক সহায়তা ও যানবাহন সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে, অন্যদিকে রুচিকা প্রিন্টার্সের বিরুদ্ধে নকশাল সাহিত্য ছাপানোর অভিযোগ রয়েছে।