হরিয়ানায় নতুন ট্রেন পরিষেবা,৮টি নতুন স্টেশন ১৫,০০০ কোটির প্রকল্প অনুমোদিত

হরিয়ানায় (Haryana) নতুন ট্রেন (New train) পরিষেবা (service), ৮টি নতুন স্টেশন (stations) ১৫,০০০ কোটির প্রকল্প (project) অনুমোদিত। গ্রেটার নয়ডা এবং গুরুগ্রামের মধ্যে যাতায়াতের সময় দীর্ঘ…

Haryana train service

short-samachar

হরিয়ানায় (Haryana) নতুন ট্রেন (New train) পরিষেবা (service), ৮টি নতুন স্টেশন (stations) ১৫,০০০ কোটির প্রকল্প (project) অনুমোদিত। গ্রেটার নয়ডা এবং গুরুগ্রামের মধ্যে যাতায়াতের সময় দীর্ঘ ট্র্যাফিক জ্যাম এবং যানজটের সমস্যায় ভোগা লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য সুখবর এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকার একটি আঞ্চলিক দ্রুত ট্রানজিট সিস্টেম (RRTS) তৈরি করার পরিকল্পনা তৈরি করেছে, যা গুরুগ্রামকে গ্রেটার নয়ডার সঙ্গে যুক্ত করবে। এই প্রকল্পের ফলে, দুই শহরের মধ্যে যাতায়াত সহজ এবং দ্রুত হবে, এবং এর মাধ্যমে দিল্লি এনসিআর-এর পরিবহন ব্যবস্থার চিত্র একেবারে বদলে যাবে।

   

নতুন এই RRTS করিডোরটি মোট ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এবং এটি গুরুগ্রামের রাজীব চককে সংযুক্ত করবে নয়ডা সেক্টর-১৪২ এবং গ্রেটার নয়ডার সুরাজপুরের সঙ্গে। করিডোরটির পথটি ফরিদাবাদ বাটা চকের মধ্য দিয়ে যাবে, যা সংযুক্ত করবে দক্ষিণ দিল্লি এবং প্রতিবেশী শহরগুলোকে। এই প্রকল্পটি হবে ১৫,০০০ কোটি টাকা মূল্যের, এবং এর আওতায় মোট আটটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এই নতুন করিডোর চালু হলে, গ্রেটার নয়ডা এবং গুরুগ্রামের মধ্যে যাতায়াতের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে এবং যানজটের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে।

বর্তমানে, গ্রেটার নয়ডা থেকে গুরুগ্রামে যেতে সড়কপথে দেড় থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে, যা মূলত রাস্তায় যানবাহনের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। নতুন ট্রানজিট সিস্টেম চালু হলে, এই সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। বিশেষ করে, যারা চাকরি বা পড়াশোনা করতে প্রতিদিন এই দুই শহরের মধ্যে যাতায়াত করেন, তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য যানজটে আটকা পড়ে থাকেন, যা তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি সম্প্রতি দিল্লিতে আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তারা RRTS করিডোর উন্নয়ন এবং মেট্রো সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কর্নাল থেকে গুরুগ্রাম পর্যন্ত মেট্রোর সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে যোগাযোগ উন্নত করার পরিকল্পনার ওপর।

এছাড়া, IGI বিমানবন্দরকে RRTS নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ এবং জেওয়ার বিমানবন্দরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ NCR হাবের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। এর ফলে এই তিন শহরের মধ্যে যোগাযোগ আরো উন্নত হবে এবং দ্রুত যাতায়াত সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে, রাজস্থানের সরাই কালে খান থেকে ধরুহেরা, বাওয়াল এবং শাহজাহানপুর পর্যন্ত এই করিডোর সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা চলছে।

এই করিডোর তৈরি হলে, শুধু যানজটই কমবে না, পাশাপাশি বায়ু দূষণও নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিশেষত, দূষিত বায়ুর কারণে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। নতুন ট্রানজিট সিস্টেম চালু হলে, অধিকাংশ যাত্রী পাবেন দ্রুত এবং সুরক্ষিত যাতায়াতের সুযোগ। এছাড়া, শহরের বাসিন্দাদের জন্য কর্মসংস্থান, শিক্ষার সুযোগ এবং সামাজিক উন্নতি আনবে এই প্রকল্পটি।

এছাড়া, এই প্রকল্পটি এলাকায় আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা তৈরি করবে, যার ফলে সরকারি চাকরির সুযোগ এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। এটি ভবিষ্যতে গ্রেটার নয়ডা এবং গুরুগ্রাম শহরের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সম্পর্কের উন্নতি করবে।

সর্বোপরি, গ্রেটার নয়ডা এবং গুরুগ্রামের মধ্যে এই নতুন ট্রানজিট সিস্টেম তৈরির ফলে এলাকাবাসীর জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আসবে, এবং এটি দিল্লি এনসিআর-এর উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।