২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে সংসদে পেশ করা হবে নতুন আয়কর বিল, যা করদাতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে।
এই ঘোষণার পর সাধারণ মানুষ, বিশেষত আয়করদাতারা, নতুন বিলটি নিয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অর্থমন্ত্রীর দাবি, নতুন আয়কর বিলটি দেশের অর্থনীতি ও কর ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং এতে সাধারণ মানুষের কর প্রদান প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে উঠবে।
আয়কর বিলের ক্ষেত্রে নির্মলা সীতারমন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই নতুন বিলটি করদাতাদের জন্য সুরাহা এনে দেবে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকবে, যার ফলে তাদের উপর আর্থিক চাপ কমবে এবং তারা আরও সহজে কর দিতে সক্ষম হবে। সাধারণতঃ, আয়কর সংক্রান্ত পদ্ধতিগুলি অনেক সময় জটিল ও শ্রমসাধ্য হয়ে থাকে, তবে এই নতুন বিলটি সেই সমস্যাগুলি দূর করতে সাহায্য করবে।
এছাড়া, আয়কর ব্যবস্থাকে আরও সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছ করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যাতে করদাতারা সহজে তাদের কর পরিশোধ করতে পারে এবং কোনো জটিলতা না হয়। অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, এই নতুন আইনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা এবং পরিষ্কারভাবে কর প্রদান সম্ভব হবে। নতুন বিলটি পেশ হলে, করদাতারা তাদের আয় অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে কর পরিশোধ করতে সক্ষম হবে, যা তাদের জন্য একটি বড় উপকারিতা হবে।
নতুন আয়কর বিলের মাধ্যমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে, যেমন ট্যাক্স স্ল্যাবের পরিবর্তন, করের হার কমানো, এবং কিছু বিশেষ করছাড়ের সুবিধা প্রদান করা হতে পারে। এ ছাড়া, বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা দেয়া হতে পারে, যা কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত করবে। বাজেটের অন্যান্য প্রস্তাবের সাথে, নতুন আয়কর বিলটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর, দেশে অনেকেই নতুন আয়কর বিলটির প্রতীক্ষায় রয়েছেন। বিশেষত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণি, যাদের উপর করের বোঝা অনেক বেশি, তারা নতুন বিলের মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাবেন বলে আশা করছেন। তাদের মতে, যদি করের হার কমানো যায় এবং করের পদ্ধতি সহজ করা যায়, তবে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে।
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি এই প্রস্তাব নিয়ে তাদের মতামত জানাতে শুরু করেছে। তারা দাবি করছেন, নতুন আয়কর বিল যদি যথাযথভাবে প্রণীত না হয়, তবে তা শুধুমাত্র একটি ভোটব্যাঙ্কের কৌশল হয়ে থাকবে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, এই বিলটি শুধু করদাতাদের সুবিধা দেবে না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও অবদান রাখবে।