পাটনা: বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে আবারও মাইলফলক স্থাপন করলেন জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর প্রধান নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বৃহস্পতিবার পাটনার গান্ধী ময়দানে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে দশম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তিনি। সারাদেশের রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল এই অনুষ্ঠানের দিকে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতা। পাশাপাশি মঞ্চে হাজির ছিলেন হরিয়ানার নয়াব সিং সাইনি, অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং নাগাল্যান্ডের নেইফিউ রিও-সহ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী।
গান্ধী ময়দানজুড়ে ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এনডিএ-র এই শক্তিশালী উপস্থিতি স্পষ্ট করেছে আগামী পাঁচ বছরে বিহারের রাজনৈতিক দিকনির্দেশ নির্ধারণ করবে বিজেপি-জেডিইউ জোট, যেখানে নীতীশ কুমার থাকছেন কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিয়ে।
শপথের পর প্রকাশ্যে এসেছে ২৫ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার নাম। এনডিএ-র দুই বড় শরিক বিজেপি ও জেডিইউ-র প্রতিনিধিত্ব এখানে প্রায় সমান। BJP থেকে মন্ত্রীরা হলেন সম্রাট চৌধুরী, বিজয় কুমার সিনহা, দিলীপ জয়সওয়াল, মঙ্গল পাণ্ডে, রাম কৃপাল যাদব, সন্তোষ সুমন, নীতিন নবীন, সঞ্জয় সিং টাইগার, অরুণ শঙ্কর প্রসাদ, সুরেন্দ্র মেহতা, নারায়ণ প্রসাদ, রামা নিশাদ, লখেন্দ্র কুমার রোশন, প্রমোদ কুমার, সঞ্জয় কুমার, সঞ্জয় কুমার সিং ও দীপক প্রকাশ৷
JDU থেকে মন্ত্রীরা হলেন বিজয় কুমার চৌধুরী, বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব, শ্রবণ কুমার, অশোক চৌধুরী, লেশি সিং, মদন সাহনি, সুনীল কুমার, মোহাম্মদ জামা খান৷
মন্ত্রিত্ব বণ্টনের চূড়ান্ত তালিকা এখনও প্রকাশিত না হলেও স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক পরিবহন, গ্রামীণ উন্নয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব শীঘ্রই ভাগ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। ২০২৫ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের বিধানসভা অধিবেশন। এই অধিবেশনে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন, নতুন বিধায়কদের শপথ, এনডিএ সরকারের প্রথম নীতিগত রূপরেখা ঘোষণা সবকিছুই সম্পন্ন হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারে বিজেপি স্পিকারের পদের দাবি জোরদার করতে পারে।
শপথের পর নীতীশ কুমার বলেন, “জনতার আস্থা রক্ষা করাই আমাদের প্রথম কাজ। উন্নয়নই হবে সরকারের প্রধান লক্ষ্য।” মোদীর উপস্থিতি থেকে শুরু করে মঞ্চের প্রতিটি বক্তব্যেই উঠে এসেছে অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষি সহায়তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের কথা। এনডিএ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে আগামী পাঁচ বছর বিহারকে নতুন উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়া হবে।


