নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর(Netaji) ১২৮ তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “বীরত্ব ও দৃঢ়তার প্রতীক ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু।…

Netaji

আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর(Netaji) ১২৮ তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “বীরত্ব ও দৃঢ়তার প্রতীক ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁর অবদান ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অপূর্ব।”

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর(Netaji) জন্মদিন উপলক্ষে আজকের দিনটি ভাততে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে পালন করা হয় । যা ২০২১ সাল থেকে শুরু হয়েছে।

   

১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, অবিভক্ত বাংলার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন, তবে তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেসের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। সুভাষ চন্দ্র বসু তখন একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ার পক্ষে ছিলেন, যা ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করেছিল। এ কারণে তিনি কংগ্রেসের মূল ধারার নেতৃত্ব থেকে সরে আসেন এবং “আজাদ হিন্দ ফৌজ” প্রতিষ্ঠা করেন।

আজাদ হিন্দ ফৌজ ছিল এমন একটি সংগঠন, যা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছিল। সুভাষ চন্দ্র বসু এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন এবং তাঁদের সহায়তায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগ্রামে অংশ নেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল যে, ভারতের স্বাধীনতা কেবলমাত্র অহিংস আন্দোলন দ্বারা সম্ভব নয়, বরং শক্তি ও শক্তিশালী সামরিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, “সুভাষ চন্দ্র বসুর দৃষ্টিভঙ্গি আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে, আমরা সেই ভারত গড়ার কাজ করছি যার স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন। তাঁর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।”

সুভাষ চন্দ্র বসুর কর্মমুখী জীবন এবং তাঁর অটুট সাহসী নেতৃত্ব আজও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য স্থান অধিকার করে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই শ্রদ্ধাঞ্জলি ভারতীয় জাতির প্রতি সুভাষ চন্দ্র বসুর অবদানকে শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর আদর্শের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে উদ্যোগী করেছে।
সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবনকথা আজও প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য প্রেরণার উৎস এবং তাঁদের আত্মবিশ্বাস এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা আরো গভীর করেছে।