এবার উত্তরাখন্ডের খাতিমায় ভারত-নেপাল সীমান্তে বন বিভাগের তৈরি করা বেড়া নিয়ে বিতর্ক। নেপালের দাবি তাদের জমিতে আছে ভারতে বেড়া।
জানা গিয়েছে, ক্যাম্পা প্রকল্পের আওতায় ২৫ হেক্টর জমির চারা রোপণের জন্য বন বিভাগ খাতিমার ১৪ নম্বর পিলারের কাছে এই বেড়াটি স্থাপন করেছিল, যা নেপালের জনগণ দখলদারিত্বের কারণ দেখিয়ে সরিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ভারত-নেপালি কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নেপালি কর্তৃপক্ষ দখলদারিত্বের কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। এখন তারা প্রমাণ দেখানোর জন্য আরও সময় চেয়েছে। ভারত-নেপাল সীমান্তেও ৭৯৮/২ নম্বর পিলারের হদিশ নেই। খাতিমা নিখোঁজ হওয়া একই স্তম্ভের কাছে বন বিভাগ বৃক্ষরোপণের জন্য তারের বন্যার কাজ চালাচ্ছিল। বন বিভাগ দ্বারা নির্মিত তারের বেড়াটি নেপাল দ্বারা উপড়ে ফেলা হয়েছিল।
নেপাল বন বিভাগের কাজকে তাদের ভূখণ্ডে একটি জবরদখল হিসাবে বর্ণনা করেছে, যার পরে উভয় দেশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও সমস্যার কোনও সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অন্য দিকে, খাতিমা এসডিএম-এর নেতৃত্বে এসএসবি বন দফতর ও রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকরা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে যৌথভাবে এদিন এই ঘটনা পরিদর্শন করেন।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জমির প্রমাণ পেশ করলেও নেপালি কর্তৃপক্ষ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের পর নেপাল কর্তৃপক্ষ আগের মতো আবার প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য আরও সময় চেয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১০ জুন পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।