ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট নিয়ে কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এদিন এই বিষয়ে আইআইটি মাদ্রাজের একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যেখানে বলা হয় পরীক্ষার মার্কসে কোনও জালিয়াতি করা হয়নি। তবে পরীক্ষা পত্রের পরিবহনে কোনও গাফিলতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তাল বাংলাদেশ, সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের বিশেষ বার্তা হাই কমিশনের
আবেদনকারীদের আইনজীবী নরেন্দ্র হুডা বলেন, গত ২৪ এপ্রিল নিট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে প্রশ্নপত্র ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। সিবিআই তদন্তে এর আগেও উঠে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরিবহনে কারসাজির বিষয়টিও। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর এক সহযোগী। সেখানে রিক্সায় ট্রাঙ্কে করে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
Indian Railways: রেলের হৈ হৈ ফেলা উদ্যোগে দারুন সাফল্য, গর্ব হতে বাধ্য
অন্যদিকে, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির আইনজীবী তুষার মেহেতা আবেদনকারীদের দাবি খারিজ করেন। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র প্রিন্টিং থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনো পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই তদন্ত করেছে সিবিআই। সেই তদন্তে কোনওরকম অনিয়মের বিষয়ে উঠে আসেনি। জিপিএস প্রযুক্তিতে এই প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনয় সাত স্তরীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে হয়েছে বলে দাবি করেন এই দুঁদে আইনজীবী। এর পাল্টা প্রশ্ন করে আদালত জানতে চায় এই গোটা প্রক্রিয়া কী একটি বেসরকারি ক্যুরিয়ার সংস্থার মারফত হয়েছিল। যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর সেই মুহূর্তে দিতে পারেননি তিনি।
তবে এই মামলায় প্রথম থেকেই পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টিতে জোর দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারীকে আগেই জানানো হয়েছিল এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় সম্পূর্ণ পদ্ধতিগতভাবে জালিয়াতি হয়েছে তা দেখাতে হবে। তা না হলে এই পরিস্থিতিতে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।
নিট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে এফআইআর দায়ের করে সারা দেশে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। বিহার থেকে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজস্থান, সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নিট কেলেঙ্কারির জাল। ইতিমধ্যে পরীক্ষা দুর্নীতির তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক নাম। তবে এই জাল কতদূর বিস্তৃত তা জানতে তদন্তে গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।