নয়াদিল্লি: বিহার নির্বাচন ঘিরে জোটে ভাঙনের গুঞ্জনে কার্যত ইতি টানলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই লড়বে এনডিএ, এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে সিদ্ধান্ত হবে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর।
অমিত শাহ বলেন, “নীতীশজিই এই নির্বাচনে এনডিএ-র মুখ। এখনই মুখ্যমন্ত্রীপদ নিয়ে জল্পনা অর্থহীন। ফল ঘোষণার পর সব মিত্রদল একত্রে বসে নেতৃত্ব নির্ধারণ করবে।”
বিজেপি থেকেই মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব
তিনি আরও জানান, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর নীতীশ কুমার নিজেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ যেহেতু বিজেপি বেশি আসন পেয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত বিজেপিরই। কিন্তু, শাহের কথায়, “আমরা বরাবরই জোটের মর্যাদা রক্ষা করেছি। নীতীশজির অভিজ্ঞতা ও সিনিয়রিটির প্রতি সম্মান জানিয়েই তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।”
নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের জবাবে শাহ বলেন, তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবনই কংগ্রেস-বিরোধিতার ভিতের উপর গড়ে উঠেছে। “মাত্র আড়াই বছর কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন নীতীশ। ১৯৭৪ সালের জয়প্রকাশ আন্দোলন থেকেই তাঁর রাজনীতি শুরু, যা শেষ পর্যন্ত ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে জাতীয় আন্দোলনে রূপ নেয়,” মন্তব্য শাহের।
স্বাস্থ্য নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ ওড়ালেন শাহ
নীতীশ কুমারের স্বাস্থ্য নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগও তিনি উড়িয়ে দেন। “আমি তাঁর সঙ্গে বারবার কথা বলেছি, কখনও এমন কিছু অনুভব করিনি। বয়সজনিত কিছু বিষয় থাকতে পারে, কিন্তু প্রশাসনের দায়িত্ব তিনি ও তাঁর দল দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছেন,” বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
একই সঙ্গে মহাগঠবন্ধনকে তীব্র আক্রমণ করে শাহ বলেন, “বিহারের মানুষ লালু প্রসাদ যাদবের শাসনের দিন দেখেছে। সেই অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি কেউ চায় না, সময় যতই বদলাক না কেন।”
কংগ্রেসকে একহাত
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “ছোট দলগুলির প্রতি অবজ্ঞা ও আত্মঅহংকারই কংগ্রেসকে আজ ছোট করে ফেলেছে, বিহার থেকে শুরু করে বাংলা পর্যন্ত সর্বত্র।”
শেষে আত্মবিশ্বাসের সুরে শাহ দাবি করেন, ১৪ নভেম্বর ফল ঘোষণার পর এনডিএ বিহারে আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়বে।