নয়াদিল্লি, ৩ ডিসেম্বর: কলকাতার উত্তপ্ত রাজনৈতিক আবহাওয়ায় যেন আরেকটা বিস্ফোরণ ঘটল আজ (NCBC Removes 35 Muslim Communities)। পিছিয়ে পড়া শ্রেণী কমিশন (NCBC) কেন্দ্রীয় এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণী (OBC) তালিকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের ৩৫টি জাতিকে বাদ দিয়েছে। আর এই ৩৫টির প্রত্যেকটিই মুসলিম সম্প্রদায়ের, যা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কেবল একটা প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, বরং দশকের পুরনো ‘ভোটব্যাঙ্ক’ রাজনীতির বিরুদ্ধে একটা শক্তিশালী প্রতিবাদ।
মোদী সরকারের নেতৃত্বে এনসিবিসি যেন বলছে, কোটা ব্যবস্থা ধর্মীয় আবেদনের খেলার মাঠ নয়। কলকাতা হাইকোর্ট গত বছরের রায়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে ৭৭টি ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছিল, যার মধ্যে ৭৫টি ছিল মুসলিম জাতির। এখন সেই ছায়া কেন্দ্রীয় তালিকায়ও পড়েছে।
দিল্লি MCD ভোটে বিজেপি সুবিধা পেলেও দুটি ওয়ার্ড হাতছাড়া
২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৪৬টি জাতির অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করে কেন্দ্রকে। তারপর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, ফেব্রুয়ারিতে, কেন্দ্র ৩৭টি জাতি কেন্দ্রীয় ওবিসি লিস্টে যোগ করে যার মধ্যে ৩৫টি মুসলিম সম্প্রদায়ের। এই জাতিগুলোর মধ্যে আছে ফারাজি, রাইন, নাসা, মাহম্মদ্রি, কাসাই—যেগুলো ঐতিহ্যগতভাবে পশ্চাদপসরণের দাবি করে।
কিন্তু এনসিবিসি চেয়ারম্যান হংসরাজ গঙ্গারাম আহিরের নেতৃত্বে আজকের রায়ে বলা হয়েছে, এই অন্তর্ভুক্তিগুলো ‘অনৈতিক ’ এবং ‘প্রমাণের অভাবে’ ভিত্তিহীন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর এনসিবিসি এই তালিকা পরীক্ষা করে দেখেছে যে, এই ৩৫টি জাতির বেশিরভাগই সেই ৭৫টির সাথে মিলে যায় যা হাইকোর্ট বাতিল করেছে। ফলে, এগুলো কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আহির বলেছেন, “এই অন্তর্ভুক্তিগুলোতে কোনো বৈজ্ঞানিক জরিপ বা তথ্যের ভিত্তি ছিল না।
এটা শুধু রাজনৈতিক লাভের জন্য করা হয়েছে।” এর ফলে, এখন সেই জাতিগুলোর লোকেরা কেন্দ্রীয় চাকরি, শিক্ষা বা অন্যান্য সুবিধায় ওবিসি কোটার অধিকার হারাবেন। চলুন, একবার ফিরে যাই এই জটিল গল্পের শুরুতে। ২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৪৬টি জাতির অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করে কেন্দ্রকে। তারপর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, ফেব্রুয়ারিতে, কেন্দ্র ৩৭টি জাতি সেন্ট্রাল ওবিসি লিস্টে যোগ করে যার মধ্যে ৩৫টি মুসলিম সম্প্রদায়ের।
এই জাতিগুলোর মধ্যে আছে ফারাজি, রাইন, নাসা, মাহম্মদ্রি, কাসাই যেগুলো ঐতিহ্যগতভাবে পশ্চাদপসরণের দাবি করে। কিন্তু এনসিবিসি চেয়ারম্যান হংসরাজ গঙ্গারাম আহিরের নেতৃত্বে আজকের রায়ে বলা হয়েছে, এই অন্তর্ভুক্তিগুলো ‘অনিয়মিত’ এবং ‘প্রমাণের অভাবে’ ভিত্তিহীন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর এনসিবিসি এই তালিকা পরীক্ষা করে দেখেছে যে, এই ৩৫টি জাতির বেশিরভাগই সেই ৭৫টির সাথে মিলে যায় যা হাইকোর্ট বাতিল করেছে।
ফলে, এগুলো কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আহির বলেছেন, “এই অন্তর্ভুক্তিগুলোতে কোনো বৈজ্ঞানিক জরিপ বা তথ্যের ভিত্তি ছিল না। এটা শুধু রাজনৈতিক লাভের জন্য করা হয়েছে।” এর ফলে, এখন সেই জাতিগুলোর লোকেরা কেন্দ্রীয় চাকরি, শিক্ষা বা অন্যান্য সুবিধায় ওবিসি কোটার অধিকার হারাবেন।

