নয়াদিল্লি: সাগরে শক্তিবৃদ্ধি! বুধবার সেনাবাহিনী দিবসে মুম্বইয়ে নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুরাট, আইএনএস নীলগিরি এবং আইএনএস ভাগশির জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন তিনি। এই তিনটি যুদ্ধজাহাজ ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই আশাবাদী তিনি। (Navy gets hunter-killer submarine)
অত্যাধুনিক ‘হান্টার-কিলার’ সাবমেরিন Navy gets hunter-killer submarine
আইএনএস ভাগশির একটি অত্যাধুনিক ‘হান্টার-কিলার’ সাবমেরিন, আইএনএস সুরাট উন্নতমানের গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার এবং আইনএনএস নীলগিরি একটি স্টেলথ ফ্রিগেট৷ ভারতীয় নৌসেনায় এই তিনটি যুদ্ধজাহাজের সংযুক্তি ভারতের সামুদ্রিক শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘‘ভারত এখন বিশ্বে একটি সামুদ্রিক শক্তিধর দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। আমাদের নৌযান নির্মাণ শিল্প আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আজ, ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের পবিত্র ভূমিতে আমরা ২১ শতকের নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছি। এটি প্রথমবার, একসঙ্গে একটি ধ্বংসকারী, একটি ফ্রিগেট এবং একটি সাবমেরিন একসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।’’
চুপিসারে কাজ করে আইএনএস ভাগশির Navy gets hunter-killer submarine
আইএনএস ভাগশির Kalvari-class Project 75-এর অন্তর্ভুক্ত৷ এটি একটি অত্যাধুনিক ‘হান্টার-কিলার’ সাবমেরিন, টর্পেডো এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত। এটি শত্রু সাবমেরিন এবং জাহাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং মাইন স্থাপন করার ক্ষমতা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি ভারতের সামুদ্রিক আধিপত্যকে শক্তিশালী করবে এবং চিন ও পাকিস্তানের মতো প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে।
আইএনএস সুরাট গাইডেড মিসাইল ধ্বংসকারী সাবমেরিন৷ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এবং সবচেয়ে আধুনিক ধ্বংসকারী জাহাজ। এটি ৭৫ শতাংশ দেশীয় উপাদান দিয়ে তৈরি এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র-সেন্সর প্যাকেজ ও উন্নত নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক ক্ষমতা নিয়ে সজ্জিত।
আইএনএস নীলগিরি, P17A স্টেলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের প্রথম জাহাজ, যা ভারতীয় নৌবাহিনীর ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে। এটি উন্নত বাঁচানোর সক্ষমতা, সী-কিপিং এবং স্টেলথ বৈশিষ্ট্য সহ পরবর্তী প্রজন্মের ফ্রিগেটগুলির অন্যতম।
প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ ভারতের নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভারতীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।