NASA X 43: বলা হয়, অস্ত্র তৈরি করা হয় যুদ্ধের জন্য নয়, যুদ্ধ এড়াতে। পৃথিবীতে অনেক ফাইটার জেট আছে, যার খবর ছড়িয়ে পড়েছে দূরের দেশেও। এমনকি যদি সেগুলো কখনও ব্যবহারও না করা হয়, শত্রুরা তাদের নাম শুনলেই মুহূর্তে ভয় পায়। বায়ু সেনার জন্য যুদ্ধবিমান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে অনেক ধরনের ফাইটার জেট আছে, যেগুলো তাদের বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম যুদ্ধবিমান সম্পর্কে জেনে নিন।
এই ফাইটার জেট এই গতিতে উড়ে
সম্প্রতি বিবিসি সায়েন্স ফোকাস বিশ্বের দ্রুততম ১০টি জেট বিমানের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দ্রুতগতির যুদ্ধবিমানের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে NASA এর X-43ও রয়েছে। নাসার এক্স-৪৩ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১,৮৫৪ কিমি বেগে ওড়ার ক্ষমতা রাখে। এই বিমানটি প্রায় দুই ঘণ্টায় পৃথিবীর চারপাশে একটি ঘূর্ণন ঘটাতে পারে। নাসা এরকম ৩টি এয়ারক্রাফট প্রস্তুত করেছিল, কিন্তু সফল পরীক্ষার পর তার মধ্যে দুটি সমুদ্রে ধ্বংস হয়ে যায়।
NASA X-43 –এর বৈশিষ্ট
- এই ফাইটার জেটের দৈর্ঘ্য 3.7 মিটার
- NASA X-43 এর ওজন প্রায় 1400 কেজি
- নাসা হাইপার এক্স প্রোগ্রামের অধীনে এই ফাইটার জেট তৈরি করেছে
- এটি শব্দের গতির 10 গুণ গতিতে উড়তে পারে
- NASA X-43 উড়তে বোয়িং-52 থেকে মুক্তি পেয়েছে
NASA X-43 বানাতে কত ডলার খরচ হয়েছে?
NASA এর X-43 প্রথমবারের মতো 2004 সালের মার্চ মাসে উড়েছিল। তার শেষ ফ্লাইটে এই জেটের গতি 9.6 Mach পৌঁছেছিল। নাসা (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এটি তৈরি করতে প্রায় 230 ডলার খরচ করেছে।