নয়া গ্রহাণু আছড়ে পড়লে কলকাতা ধ্বংস হতে পারে! নাসার রিপোর্টে উদ্বেগ

বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বর্তমানে একটি নতুন গ্রহাণু নিয়ে চিন্তিত। এই গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২৪ওয়াইআর৪’ এবং এটি ৬১ হাজার কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে।…

Nasa Warns Kolkata Vulnerable: Chances of City-Killer Asteroid Hitting Earth

বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বর্তমানে একটি নতুন গ্রহাণু নিয়ে চিন্তিত। এই গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২৪ওয়াইআর৪’ এবং এটি ৬১ হাজার কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। নাসার রিপোর্টে এই গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে বড় ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রহাণুটি যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে, তবে কলকাতা সহ পৃথিবীর একাধিক জনবহুল শহর ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এই গ্রহাণুর গতিপথ প্রথমবার চিহ্নিত হয়েছিল গত ২৭ ডিসেম্বর এবং এরপর থেকেই বিজ্ঞানীরা তার গতিবিধি লক্ষ্য করে আসছেন। ‘২০২৪ওয়াইআর৪’ যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে, তবে তা কী ধরনের ক্ষতি করতে পারে, সেই বিষয়টিও বিশদে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যদিও নাসার রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা মাত্র ৩.১ শতাংশ, তবে এই সম্ভাবনা নিয়েও বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। কারণ, যদি এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে, তাহলে ব্যাপক ধ্বংস হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন ঘটনা ঘটলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এক entire শহর।

   

নাসা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, এই গ্রহাণুর গতিপথের মধ্যে রয়েছে পূর্ব প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকা, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশ, অতলান্তিক মহাসাগর, আফ্রিকা, আরব সাগর, এবং দক্ষিণ এশিয়া। এই অঞ্চলে থাকা একাধিক জনবহুল শহর রয়েছে, যেখানে বিশেষ শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলি হলো মুম্বই, কলকাতা, ঢাকা, বাগোটা, আবিদজান, লাগোস, এবং খার্তুম। বিশেষ করে কলকাতা, ভারতের একটি অন্যতম জনবহুল শহর হওয়ায় এখানে বিপদের আশঙ্কা বেশি।

গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার প্রভাব সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবীতে এমন ঘটনা অতীতে একাধিকবার ঘটেছে এবং এর ফলে পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনে এই ধরনের গ্রহাণুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয়। এই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা পৃথিবীকে গঠন এবং জীববৈচিত্র্যেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।

বর্তমানে, পৃথিবী এবং গ্রহাণুর সংঘর্ষের আশঙ্কা অনেকেই কল্পবিজ্ঞান হিসেবে দেখলেও, নাসার রিপোর্টে তা আরেকটু বাস্তব হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহাণুটির গতিপথ এবং আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে তারা নিরন্তর নজর রাখবেন। যদিও এই গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হতে চান যে এর ফলে পৃথিবীতে কোনো ক্ষতি না হয়।

এই গ্রহাণুর আছড়ে পড়া শুধু কলকাতা বা ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে মানবসভ্যতার জন্য একটি বড় বিপদ হতে পারে। বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিপদ এলে তা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়।

এখনকার পরিস্থিতিতে, এমন একটি গ্রহাণু নিয়ে বিজ্ঞানীরা যে ধরনের চিন্তা ভাবনা করছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে। বিজ্ঞানীরা সতর্কতা অবলম্বন করে এর গতিপথের দিকে নজর রাখছেন, এবং আমরা সবাই আশা করছি, এটি পৃথিবী থেকে নিরাপদ দূরত্বে চলে যাবে।