স্বাধীনতা দিবসের সকালে দিল্লির লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আর সেই ভাষণে দেশের ও দেশের অন্যান্য ইস্যু ছাড়াও উঠে এল প্রতিবেশি দেশের কথাও। সম্প্রতি বাংলাদেশে (Bangladesh) ঘটে চলা হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর প্রতি নির্মম হামলার প্রসঙ্গ টেনে তোলেন তিনি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর সুরক্ষা নিয়ে আবারও সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশে নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে।
চালক ছাড়াই উড়বে বোমারু বিমান, হান্টার কিলার ঘুম ওড়াবে পাক-চিনের
আর তাতে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ডা. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু নতুন সরকার আসতেই হিন্দুদের পরিবার ও সম্পত্তির ওপর লাগাতার হামলা বেড়েছে। আর যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে সম্প্রতি ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে হিন্দুদের সঙ্গে বৈঠকও করেন ইউনূস। যদিও তাতে আখেড়ে চিড়ে ভেজেনি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
‘মেয়েদের রাত দখল’ প্রতিবাদে থাকবে শান্তনুর স্ত্রী-কন্যা
এদিন ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, “ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদাই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী। ভারত বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা রাখি বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়েরা চায়, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।” তিনি আরও বলেন, “আগামী দিনগুলিতেও ভারত তার ‘বিকাশ যাত্রা’য় বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা চালিয়ে যাবে। কারণ, আমরা মানবজাতির কল্যাণের কথা চিন্তা করি।”
আর জি করে রাতের ‘রণক্ষেত্রে’ দাঁড়িয়ে মিডিয়াকেই তুলোধোনা কমিশনারের!
মূলত আওয়ামী লীগের ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ হিন্দু সংখ্যালঘু ভোটার। দীর্ঘ ১৫ বছর শেখ হাসিনার আমলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উচ্চপদে আসীন ছিলেন হিন্দুরা। তাতে মুসলিমদের একটা বড় অংশের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। আর হাসিনার পতনের পর তার বহিঃপ্রকাশ ভয়ঙ্কর ভাবে ঘটে। যার ফলে আক্রান্ত হতে হয়ে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের। তবে ইতিমধ্যেই ঢাকা, খুলনা, পাবনা, রাজশাহী সহ একাধিক জায়গায় সমবেত হয়েছেন সেদেশের হিন্দুরা। গানে, কবিতায়, পোস্টারে নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরছেন তাঁরা।