কেরালার (Kerala) কোচিতে একটি খ্রিস্টান-পরিচালিত স্কুলে এক মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাসে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি সামনে আসতেই রাজ্যের সাধারণ শিক্ষামন্ত্রী ভি. শিবনকুট্টি তৎপর হন এবং মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, ওই ছাত্রীকে অবিলম্বে হিজাব পরে ক্লাসে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে হবে।
মন্ত্রী জানান, কেরালা একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য, যেখানে সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষিত। “কেরালায় কোনো শিক্ষার্থীকে ধর্মীয় কারণে কষ্ট সহ্য করতে হবে না। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সংবিধানবিরোধী আচরণ করতে দেওয়া হবে না,”— বলেন শিক্ষামন্ত্রী ভি. শিবনকুট্টি।
শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে জানান, কেরালা সরকার কখনও ধর্মীয় বৈষম্য বরদাশত করবে না। রাজ্যে সকল শিক্ষার্থীর ধর্ম পালনের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। তিনি বলেন, “কেরালা হল একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষার মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। এমন ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মানসিক ক্ষতি হয় এবং শিক্ষা-পরিবেশ নষ্ট হয়।”
এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যজুড়ে নানান মহলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মীরা সরকারের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এটি শুধুমাত্র এক ছাত্রীর অধিকার রক্ষা নয়, বরং ভবিষ্যতে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ রোধে একটি দৃঢ় বার্তা।
একটি মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরে শিক্ষা গ্রহণ করতে চাইছে — এটি তার ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার। শিক্ষা কখনোই ধর্মীয় পোশাক বা চেহারার ভিত্তিতে সীমাবদ্ধ হতে পারে না। কেরালার মতো শিক্ষাবান্ধব রাজ্যে এমন ঘটনার কোনো স্থান নেই বলেই মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।