তৃতীয় স্ত্রীয়ের হাতে খুন! স্বামীর বস্তাবন্দী দেহ উদ্ধার করল দ্বিতীয় স্ত্রী

ভোপাল: সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলার সাকারিয়া গ্রামের একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় বস্তায় (Sack) বন্দী এক মৃতদেহ। প্রথমে দেখে কোনও স্বাভাবিক খুন মনে হলেও একের…

ভোপাল: সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলার সাকারিয়া গ্রামের একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় বস্তায় (Sack) বন্দী এক মৃতদেহ। প্রথমে দেখে কোনও স্বাভাবিক খুন মনে হলেও একের পর এক রহস্যের গিঁট খুলতে থাকায় তাজ্জব বনে যায় খোদ পুলিশ! একাধিক বিবাহের নির্মম পরিণতির সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশের ওই গ্রাম। জানা গিয়েছে, খুনের রহস্যের মতই জটিল মৃতের ব্যক্তিগত জীবন।

সাকারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ভাইয়ালাল রাজাক (৬০) সর্বমোট তিনবার বিবাহ করেন। ভাইয়ালালের প্রথম স্ত্রী তাঁকে অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে চলে যান। তারপর তিনি গুড্ডি বাঈ নামক এক মহিলাকে বিয়ে করেন। কিন্তু ভাইয়ালালের দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের সঙ্গে কোনও সন্তান না হওয়ার গুড্ডি বাঈয়ের ছোট বোন মুন্নিকে (যার আর এক নাম বিমলা) বিয়ে করেন ওই ব্যক্তি। মুন্নির দুটি সন্তান হয়।

   

তবে স্থানীয় এক জমি-বাড়ির দালাল নারায়ণ দাস খুশওয়াহা ওরফে লাল্লুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মুন্নি। স্ত্রীয়ের এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কই ভাইয়ালালের জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, লাল্লু এবং মুন্নির সম্পর্কের গভীরতা এতই বৃদ্ধি পায় যে ভাইয়ালালকে রাস্তা থেকে সরাতে উদ্যত হয় তাঁরা। বেশ কয়েকদিন ধরে পরিকল্পনা করে ধীরজ নামক এক ২৫ বছর বয়সী লেবারকে ভাইয়ালালকে খুন (Murder) করার দায়িত্ব দেয় প্রেমিক-যুগল।

Advertisements

গত ৩০ আগস্ট রাত ২ টো নাগাদ লাল্লু এবং ধীরজ ভাইয়ালালের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে খুন করে। তারপর মৃতদেহটিকে বস্তায় ভরে কম্বল, শাড়ি দিয়ে জড়িয়ে দড়ি দিয়ে বস্তার মুখ বন্ধ করে গ্রামের একটি কুয়োর ফেলে দেয়। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস! পরদিন সকালবেলা মৃত ভাইয়ালালের দ্বিতীয় স্ত্রী গুড্ডি কুয়োর জলে স্বামীর বস্তাবন্দী দেহ ভাসতে দেখেন।

ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়, খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে ভাইয়ালালের মৃতদেহ সহ তাঁর মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠালে মৃত্যুর কারণ হিসেবে শরীরে একাধিক আঘাতের কথা জানানো হয়। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমে মুন্নি, লাল্লু এবং ধীরজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।