Murder: প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে মদ্যপান করিয়ে নৃশংস খুন!

লখনউ: স্বামীকে মদ্যপান করিয়ে গলায় নিজের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে নৃশংস ভাবে খুন (Murder)! তারপর “দুর্ঘটনা”র গল্প সাজাতে স্বামীর মৃতদেহকে ঘটনাস্থল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে…

Murder: প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে মদ্যপান করিয়ে নৃশংস খুন!

লখনউ: স্বামীকে মদ্যপান করিয়ে গলায় নিজের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে নৃশংস ভাবে খুন (Murder)! তারপর “দুর্ঘটনা”র গল্প সাজাতে স্বামীর মৃতদেহকে ঘটনাস্থল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ফেলে আসা হল। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই মর্মান্তিক খুনের সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলা।

বস্তুত, শনিবার সকালে রাজাবাড়ি গ্রামের নিছলৌল-সিন্দুরিয়া সড়কে নাগেশ্বর রৌনিয়ার (২৬) নামক এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নাগেশ্বরের বাবা কেশব রাজ পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বলেন, শুক্রবার বিকেল ৪ টে নাগাদ নাগেশ্বর বাইকে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং তার পরে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি।

   

সকালে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পান বৃদ্ধ কেশব রাজ। পুলিশকে তিনি বলেন, তাঁর বৌমা নেহার জিতেন্দ্র নামক এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। জিতেন্দ্র এবং নেহার একই গ্রামে বাড়ি। ওরা দুজন মিলে নাগেশ্বরকে খুন করে মৃতদেহকে বাড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের রাস্তায় ফেলে দিয়ে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। কেশব রাজের অভিযোগের ভিত্তিতে জিতেন্দ্র এবং নাগেশ্বরের স্ত্রী নেহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা খুনের কথা স্বীকার করে নেয়।

খুনের আগে নাগেশ্বরকে মদ্যপান করায় নেহা

নেহা নাগেশ্বরকে কোতোয়ালি থানা এলাকার বিসমিল নগরে ডেকে পাঠায় এবং পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রথমে তাকে মদ্যপান করায় এবং নিজে বিয়ার পান করে। এরপর নাগেশ্বর ঘুমিয়ে পড়লে নেহা তাঁর ওড়না দিয়ে স্বামীর হাত, পা বেঁধে প্রেমিক জিতেন্দ্রকে ডাকে।

Advertisements

নেহা নাগেশ্বরের গলা টিপে ধরে এবং জিতেন্দ্র সজোরে আঘাত করতে থাকে। শ্বাসরোধ এবং মুখ দিয়ে রক্ত উঠে নাগেশ্বর মারা যান। সন্দেহ এড়াতে, দুজনে প্রথমে নাগেশ্বরের সমস্ত পোশাক খুলে তাকে স্নান করায়। তারপর বাইকে করে ঘটনাস্থল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মৃতদেহটি ফেলে দেয়।

নাগেশ্বর জেল যাওয়ায় জিতেন্দ্রর সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে নেহার

জিতেন্দ্রর সঙ্গে থেকেই কাজ করত নাগেশ্বর। অবৈধ ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে, পুলিশ নাগেশ্বরকে এনডিপিএস আইনে জেলে পাঠায়। এরপর নেহার সাথে জিতেন্দ্রের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং জিতেন্দ্র নেহার প্রেমে পড়তে শুরু করে। নাগেশ্বর জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর অশান্তি শুরু হয়।

কিন্তু ততদিনে নেহা এবং জিতেন্দ্রের সম্পর্ক এগিয়ে গিয়েছিল এবং নেহা নাগেশ্বরের সাথে না থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। স্বামী-স্ত্রীর অশান্তির জের থানা অবধি গড়ায়। পুলিশ হস্তক্ষেপ করে নেহা এবং নাগেশ্বরের মধ্যে অশান্তি বন্ধ করারও চেষ্টা করে। কিন্তু সব চেষ্টাই যে বিফলে গিয়েছিল, নাগেশ্বরের মৃত্যুই তার প্রমাণ দিচ্ছে।