৭/১১ মামলার রায় ‘গুরুতর’, খালাস রদে সুপ্রিম কোর্টে মহারাষ্ট্র ATS

মুম্বই: ২০০৬ সালের মুম্বই লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মামলায় বম্বে হাই কোর্ট যে রায়ে ১২ জন দোষীকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ…

Mumbai Train Blasts Acquittal Challenge

মুম্বই: ২০০৬ সালের মুম্বই লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মামলায় বম্বে হাই কোর্ট যে রায়ে ১২ জন দোষীকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করল মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (ATS)। মঙ্গলবার ATS এর দায়ের করা আবেদন গ্রহণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে।

আগে জানা গিয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকার এই রায় চ্যালেঞ্জ করেছে (Mumbai Train Blasts Acquittal Challenge)। কিন্তু পরে স্পষ্ট হয়, আসলে আবেদনটি দায়ের করেছে মহারাষ্ট্র ATS, কেন্দ্র নয়। এই ত্রুটির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

   

সোমবার বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি অনিল কিলোর ও শ্যাম চাঁদকের ডিভিশন বেঞ্চ ২০০৯ সালের ট্রায়াল কোর্টের রায় উল্টে দেয়। সেই রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড (যার একজন ইতিমধ্যেই মৃত) এবং বাকি সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। কিন্তু হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘প্রসিকিউশন সম্পূর্ণভাবে প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে” এবং ‘‘এই অভিযোগে অভিযুক্তরা জড়িত, তা বিশ্বাস করা কঠিন’’।

এছাড়া হাই কোর্ট গুরুতর পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে, তদন্তে ATS-এর ভূমিকা সন্দেহজনক। অভিযুক্তদের বক্তব্য ছিল, ATS আধিকারিকরা তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে এবং দ্রুত ফল চেয়ে উপরমহলের চাপেই তদন্তের এই রূপ দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১১ জুলাই সন্ধেয় মুম্বইয়ের পশ্চিম রেলওয়ের সাতটি লোকাল ট্রেনে পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়াবহ ওই হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ১৮৯ জন, আহত হন ৮০০-র বেশি। ওই হামলাকে দেশজুড়ে অন্যতম প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলা হিসেবে গণ্য করা হয়।

ATS বরাবরই দাবি করেছে, অভিযুক্তদের যোগসূত্র ছিল Students’ Islamic Movement of India (SIMI)-র নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে, এবং তারা পাকিস্তানের লস্কর-এ-তৈবার অপারেটিভদের সঙ্গে মিলে বিস্ফোরণের ছক কষেছিল।

এই পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের রায়ে মহারাষ্ট্র ATS বড় ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের পরবর্তী রায়ে ফের কোন দিকে মোড় নেয় মামলাটি, তার দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।