Mumbai: শক্তি মিল গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড রদ

Mumbai Shakti Mill gang rape Case নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: জনতার ভাবাবেগ মেনে আইনি ব্যবস্থা কখনওই চলতে পারে না। তাই মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা…

Mumbai Shakti Mill gang rape Case

Mumbai Shakti Mill gang rape Case
নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: জনতার ভাবাবেগ মেনে আইনি ব্যবস্থা কখনওই চলতে পারে না। তাই মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল বম্বে হাইকোর্ট (bombay high court)। মুম্বইয়ের শক্তি মিল (shakti mill) গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট।

২০১৩ সালের ২২ অগাস্ট শক্তিমিল গণধর্ষণের ঘটনা গোটা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিল। ওই দিন এক তরুণী সাংবাদিককে (woman photographer) শক্তি মিলের ভিতরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছিল দোষীরা। ধর্ষণের এই মামলায় নিম্ন আদালত দোষীদের ফাঁসির (death penalty) সাজা শুনিয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের শাস্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দোষী সাব্যস্তরা আবেদন করেছিল বোম্বে হাইকোর্টে।

   

সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করে। একই সঙ্গে আদালত দোষীদের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।

Mumbai Shakti Mill

বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শক্তি মিল গণধর্ষণের ঘটনা দেশের সভ্য সমাজকে নাড়া দিয়েছিল। গণধর্ষণের ঘটনা মানবাধিকারের ওপর বড় ধরনের আঘাত। তবে ব্যতিক্রমী কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড হল শেষ অস্ত্র। শুধুমাত্র জনতার ভাবাবেগের উপর নির্ভর করে কখনওই বিচারব্যবস্থা চলতে পারে না। সে কারণেই দোষী সাব্যস্ত তিনজনের মৃত্যুদণ্ড রদ করা হল। একইসঙ্গে বেঞ্চ জানায়, অপরাধীরা যাতে আর কোনও দিন সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে না পারে তার জন্য তাদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের চার দেওয়ালের মধ্যে থাকতে হবে। এমনকী, দোষীরা কখনও প্যারোলেও মুক্তি পাবে না।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২২ অগাস্ট একটি খবর করার জন্য সহকর্মীর সঙ্গে মুম্বইয়ের পরিত্যক্ত শক্তি মিল চত্বরে গিয়েছিলেন বছর ২২-এর ওই তরুণী চিত্রসাংবাদিক। সেখানেই ওই তরুণীর সঙ্গীকে মারধর করে বেঁধে রাখা হয়। এরপর শক্তি মিলের ভিতরে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। তরুণী সাংবাদিককে গণধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

শুধু তাই নয়, ওই ঘটনাটি নিয়ে যখন গোটা দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে সে সময়ে এক তরুণী টেলিফোন অপারেটর অভিযোগ করেন, মাসখানেক আগে তাঁকেও ওই একই জায়গায় গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তদন্তে দেখা যায় দুটি গণধর্ষণের ঘটনাতেই বিজয়, কাসেম, সেলিম নামে তিনজন যুক্ত ছিল। দোষী সাব্যস্ত সকলকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তবে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করল।